• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    ভালো পারফর্ম করে কোচকে ভুল প্রমাণ করতে চান ওয়াহাব

    ভালো পারফর্ম করে কোচকে ভুল প্রমাণ করতে চান ওয়াহাব    

    মোহাম্মদ আমির ও আসিফ আলির স্কোয়াডে ফেরার গুঞ্জনটা ছিল দুইদিন আগে থেকেই। কিন্তু ওয়াহাব রিয়াজ বিশ্বকাপ খেলবেন, সেটা ছিল একদমই ধারণার বাইরে। সবাইকে চমকে দিয়ে বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত পাকিস্তানের ১৫ জনের চূড়ান্ত দলে রাখা হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলা ওয়াহাবকে। স্কোয়াডে ফেরার পর ওয়াহাব বলছেন, বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করে কোচ মিকি আর্থারকে ভুল প্রমাণ করতে চান তিনি।

    গত মাসে যখন ২৩ জনের প্রাথমিক স্কোয়াড নির্বাচন করা হচ্ছিল, তখন ওয়াহাবের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন আর্থার। আর্থারের দাবি ছিল, প্রায় দুই বছর ধরে যিনি ওয়ানডে খেলছেন না, তাকে কীভাবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে নেওয়া যাবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও পাকিস্তানের ঘরোয়া লিগে দারুণ পারফর্ম করেছেন ওয়াহাব। এবারের আসরে পাঁচ ম্যাচে ২০.৭০ গড় ও ৪.৬০ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ১০ উইকেট। তবুও তাকে শেষ পর্যন্ত প্রাথমিক স্কোয়াডে রাখা হয়নি, ছিলেন না ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও।

     

     

    বিশ্বকাপে ওয়াহাব খেলবেন, এমন কোন আভাসও পাওয়া যায়নি গত কয়েকদিনে। গত পরশু চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণার সময়ই চমকটা দেন নির্বাচকরা। দুই বছর পর ওয়ানডেতে ফিরেই বিশ্বকাপ খেলতে পেরে খানিকটা আবেগি হয়ে পড়েছেন ওয়াহাব, ‘গত দুইটা বছর কী কষ্টের মাঝে গেছে সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি অতীত নিয়ে আর ভাবতে চাই না। বিশ্বকাপে কী করতে পারি সেটা নিয়েই এখন আমার সব মনোযোগ। কোচের দায়িত্ব হচ্ছে সেরা স্কোয়াডটা নির্বাচন করা, তিনি দলের জয়ই চান। তবে আমিও বিশ্বকাপ খেলতে চাই। এখন আমার লক্ষ্য হচ্ছে কোচকে ভুল প্রমাণ করা।’

     

    দুই বছর পর দলে ফিরেই ওয়াহাব খেলবেন বিশ্বকাপ, এটা কি অন্যদের সাথে অন্যায় হয়েছে? ওয়াহাব অবশ্য এমনটা মানতে নারাজ, ‘আমার দলে ফেরাটা কোন অন্যায় হয়নি। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সফরে আমি ডাক পেতে পারি, এমনটা শুনছিলাম শুরু থেকেই। শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। আমি সরাসরি বিশ্বকাপে খেলব, এটা আল্লাহরই ইচ্ছা ছিল! আমি চাইনা এভাবে স্কোয়াডে ফেরার পর বিশ্বকাপে সবাইকে হতাশ করতে।’

    ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তান শিরোপা জিতলেও খুব একটা ভালো পারফর্ম করতে পারেননি ওয়াহাব। সেই টুর্নামেন্টের পর দলে জায়গাও হারিয়েছিলেন। তবে মাঝের এই লম্বা সময়টায় দলে ফেরার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই আমি ভালো পারফর্ম করিনি, এটা নিয়ে খুব হতাশ ছিলাম। কিন্তু কখনো আশা হারাইনি, এটার প্রতিদানই এবার পেয়েছি। আমি অনেকবার স্বপ্ন দেখেছি যে সরফরাজ ও কোচ আমাকে দলে ফিরিয়েছে, অনেক সময় দল থেকে বা পড়ার স্বপ্নও অবশ্য দেখেছিলাম। দশদিন আগে এটাও স্বপ্নে দেখেছি, ইনজামাম আমাকে ফোন দিয়ে বলছেন, আমি বিশ্বকাপে খেলব, এটাই আমার শেষ সুযোগ!’ 

    অপ্রত্যাশিতভাবে তাকে দলে নেওয়ার বেশ চাপেই থাকবেন প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক, মানছেন ওয়াহাব, ‘শুধুমাত্র অভিজ্ঞতার জোরেই আমাকে দলে ফিরিয়েছেন তিনি। তাঁর ওপর তাই চাপ থাকবেই। গত দুই বছরে বোলার হিসেবে আমি আরও পরিপক্ব হয়েছি। বিশ্বকাপের একটা ম্যাচ দেখে যদি কেউ আমাকে মূল্যায়ন করে, সেটা ঠিক হবে না। ইংল্যান্ডের পিচ ব্যাটিং সহায়ক হবে, তাই সেখানে বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনতে হবে। রিভার্স সুইং বিশ্বকাপে বড় ভূমিকা পালন করবে। যেহেতু এই ব্যাপারে আমি অভিজ্ঞ তাই ইনিংসের শেষের দিকে এটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’