• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল: প্লেয়ার রেটিং

    চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল: প্লেয়ার রেটিং    

    টটেনহাম হটস্পার

     

    হুগো লরিস ৬/১০

    দুই গোলের কোনওটিতেই তেমন কিছুই করার ছিল না তার। কিন্তু পুরো ম্যাচে লম্বা পাসে মাঝমাঠে বা আক্রমণে  সহায়তা করতে পারেননি।

    কিয়েরন ট্রিপিয়ের ৫.৫/১০

    সাদিও মানের সঙ্গে একেবারেই পেরে উঠেননি। আক্রমণেও ছিলেন বিবর্ণ।

    টবি অল্ডারওয়েরেল্ড ৭.৫/১০

    ইস্পাতদৃঢ় রক্ষণ। অসাধারণ খেলেছেন পুরো ম্যাচ। ফিরমিনোকে পকেটবন্দি করে রেখেছিলেন, কিন্তু দলের পরাজয়ে ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই।

    ইয়ান ভার্টনহেন ৭.৫/১০

    বেলজিয়ান সেন্টার ব্যাক সঙ্গীর মত তিনিও ছিলেন দুর্দান্ত। ডিবক্সে লিভারপুলের কোনও ফরোয়ার্ডকে তেমন সুযোগ দেননি। কিন্তু অন্য প্রান্তে সেটপিসে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।

    ড্যানি রোজ ৬/১০

    প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার আক্রমণে সাহায্য করেছিলেন, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সময়ের সাথে খেই হারিয়েছেন। সালাহকে আটকানোর কাজটা অবশ্য করেছেন ঠিকঠাক।

    মুসা সিসোকো ৫.৫/১০

    মাঝমাঠের দখলটা একেবারেই নিজের করে নিতে পারেননি। কেইনদের সাথে বোঝাপড়ার অভাবটা ছিল সুস্পষ্ট।

     

     

    হ্যারি উইঙ্কস ৫/১০

    মাউরিসিও পচেত্তিনোর বাজিটা কাজে লাগেনি। ফাবিনহো, ওয়াইনাল্ডামদের শারীরিক শক্তির সামনে অসহায়ই মনে হয়েছে তাকে।

    ড্যালে আলি ৪.৫/১০

    মাঠে এক মুহূর্তের জন্যও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। না পেরেছেন আক্রমণে পাস যোগাতে, না পেরেছেন নিচে নেমে সিসোকোদের সাহায্য করতে।

    ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন ৬.৫/১০

    স্পার্সের আক্রমণ যে কয়বারই হয়েছে, প্রতিবারই তার মূলে ছিলেন তিনিই। কিন্তু ‘এন্ড প্রোডাক্ট’ না পাওয়ায় ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই।

    হ্যারি কেইন ৪.৫/১০

    মাঠে খুঁজেই পাওয়া যায়নি তাকে। ভ্যান ডাইকের সামনে প্রতিবারই ফিরেছেন খালি হাতে।

    হিউঙ-মিন সন ৬/১০

    চেষ্টা করে গেছেন শেষ পর্যন্ত, কিন্তু কাজের কাজটা করতে পারেননি। মাতিপ-ভ্যান ডাইকের সামনে কেইনের মতই অসহায় ছিলেন।

     

    বদলি

    লুকাস মউরা ৫/১০

    আয়াক্সের মাঠের পারফর‍ম্যান্স ফিরিয়ে আনতে পারেননি। পুরোটা সময় ছিলেন রবার্টসনের পকেটে।

    এরিক ডায়ার ৫/১০

    উইঙ্কসের মত লিভারপুলের প্রেসিং এবং শারীরিক শক্তির সামনে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন।

    ফার্নান্দো ইয়োরেন্তে /১০

    শেষ ১০ মিনিটে নেমেছিলেন, খেলায় প্রভাব ফেলতে পারেননি

     

    ম্যানেজার

    মাউরিসিও পচেত্তিনো ৫/১০

    কেইনকে শুরু থেকে খেলানো বা মাঝমাঠে উইঙ্ককে নামানো- কোনও বাজিই কাজে লাগেনি তার। মউরাকে মিনিট বিশেক আগে নামানোর সিদ্ধান্তও কাজে দেয়নি। ক্লপের মত সাহসী সিদ্ধান্ত না নিয়ে গতানুগতিক ট্যাকটিক্সে ভরসা রেখেছিলেন,আর সেটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে কাল। একেবারে গড়পড়তা পারফরম্যান্সের পরও আলিকে উঠিয়ে নেননি। স্পার্সের অতি সাধারণ ট্যাকটিক্সের সামনে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে কোনও সমস্যাই হয়নি লিভারপুলের।

     

     

     

    লিভারপুল

     

    অ্যালিসন বেকার ৯/১০

    নিঃসন্দেহে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। রীতিমত দুর্গ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্পার্সের আক্রমণের সামনে। একের পর দারুণ সেভে ফিরিয়ে দিয়েছেন কেইনদের। বিশেষ করে শেষদিকে এরিকসেনের ফেরানো শটটি ছিল দুর্দান্ত।

    ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড ৭.৫/১০

    মাত্র ১৯ বছর বয়সে কেন তাকে বিশ্বের সেরা ফুলব্যাকদের কাতারে ফেলা হয়, প্রমাণ করলেন আবারও। আক্রমণ বা রক্ষণ- দুই প্রান্তেই ছিলেন দুর্দান্ত।

    জোয়েল মাতিপ ৮/১০

    লিভারপুলের রক্ষণের ‘সাইলেন্ট কিলার’। ক্যারিয়ারের শেষদিকে এসে সেরাটা দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। সনদের গতিও তার সামনে কোনও প্রতিকূলতা সৃষ্টি করতে পারেনি। ওরিগির গোলটা এসেছে তার পাস থেকেই।

    ভার্জিল ভ্যান ডাইক ৮.৫/১০

    আবারও বড় ম্যাচে লেটার মার্কস পেয়ে পাশ করলেন। দু’বার তার ট্যাকেলেই অ্যালিসনকে ডিবক্সে একা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন সন এবং কেইন। খুব সম্ভবত ব্যালন ডি’অরের রেসেও এগিয়ে গেলেন অন্যদের চেয়ে।

    অ্যান্ডি রবার্টসন ৮.৫/১০

    পুরোটা ম্যাচ আক্রমণ-রক্ষণে সরব উপস্থিতি ছিল তার। মউরা, সনদের তো পকেটবন্দি করে রেখেছিলেনই, আক্রমণেও ট্রিপিয়েরদের ভুগিয়েছেন বেশ।

    জর্ডান হেন্ডারসন ৮/১০

    অধিনায়কসুলভ পারফরম্যান্স। পুরো দলকে এক সূতোয় গেঁথেছিলেন। বল হারিয়েছেন হাতেগোনা কয়েকবার, প্রেসিং ছিল দুর্দান্ত।

    ফাবিনহো ৮/১০

    ভ্যান ডাইকদের সামনে রীতিমত ‘দুর্গ’ গড়ে তুলেছিলেন। তাকে পাশ কাটিয়ে যেতে রীতিমত গলদঘর্ম হয়েছিল স্পার্সের ফরোয়ার্ডদের। আবারও নিজের জাত চেনালেন তিনি।

    জর্জিনিও ওয়াইনাল্ডাম ৭.৫/১০

    সালাহদের সাগথে বোঝাপড়াটা ছিল দারুণ। আক্রমণে যেমন সাহায্য করেছেন, তেমনি নিচে নেমে রক্ষণেও সাহায্য করেছেন বেশ।

    মোহামেদ সালাহ ৬.৫/১০

    গত ফাইনালের কান্নার প্রতিশোধ নিয়েছেন শিরোপা জিতেই। লিভারপুল লিডও নিয়েছিল তার গোলেই, কিন্তু বাকিটা সময় তেমন বিপাকে ফেলতে পারেননি স্পার্স রক্ষণভাগকে।

    রবার্তো ফিরমিনো ৫/১০

    লিভারপুলের জার্সিতে অন্যতম গড়পড়তা পারফরম্যান্স তার। ভার্টনহেনদের সাথে পেরে উঠেননি, মানে-সালাহদের পাসও যোগাতে পারেননি।

    সাদিও মানে ৭.৫/১০

    আক্রমণে লিভারপুলের সেরা ফুটবলার। পুরোটা ম্যাচ ট্রিপিয়েরকে নাকানিচুবানি খাইয়েছেন, তার ক্রস থেকে পেনাল্টি পেয়েছিল লিভারপুল। দারুণ পারফরম্যান্স।

     

    বদলি

    ডিভক ওরিগি ৮/১০

    আবারও প্রয়োজনের সময় লিভারপুলের ত্রাণকর্তা হয়ে উঠলেন তিনি। শেষদিকে দারুণ গোলে নিশ্চিত করেছেন লিভারপুলের চ্যাম্পিয়নস লিগ। সালাহ-মানেরা ‘স্পটলাইট’ পেলেও তার অবদান কম নয় কোনও অংশেই।

    জেমস মিলনার ৭.৫/১০

    মিলনারসুলভ পারফরম্যান্স। মাঝমাঠে এতটুকু জায়গা দেননি কাউকে। প্রতি-আক্রমণে লম্বা পাসে স্পার্সের রক্ষণভাগকে বেশ কয়েকবার বিপদে ফেলেছিলেন। কিন্তু মাঝমাঠের দখলটা হাতছাড়া করেননি এক মুহূর্তের জন্যও।

    জো গোমেজ /১০

    শেষদিকে নেমেছিলেন, ম্যাচে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি

     

    ম্যানেজার

    ইয়ুর্গেন ক্লপ ৯/১০

    দ্বিতীয়ার্ধে ফিরমিনো এবং ওয়াইনাল্ডামকে উঠিয়ে নেওয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত ছিল দুর্দান্ত। ওরিগি গোল করেছেন, আর মাঝমাঠের লাগাম টেনে ধরেছেন মিলনার। তার ‘ট্রেডমার্ক’ গেগেনপ্রেসিং ফুটবলের সামনে খেই হারিয়ে ফেলা স্পার্স ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি। সাহসী সিদ্ধান্তের পুরষ্কারটাও পেয়েছেন তিনি, ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত কোনও ফাইনাল জিতে।