নার্ভাসনেসের কারণেই শুরুটা ধীরগতির হয়েছিল ওয়ার্নারের
দীর্ঘ এক বছর পর জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ৮৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ফেরাটা স্মরণীয় করে রাখলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ব্রিস্টলের ম্যাচ শেষে ওয়ার্নার বলছেন, এই ম্যাচের আগে বেশ নার্ভাস ছিলেন তিনি, এজন্যই শুরুতে বেশ ধীরগতিতে ব্যাটিং করেছেন।
আফগানদের দেওয়া ২০৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা অজিদের হয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ ও ওয়ার্নার। ফিঞ্চ স্বভাবসুলভভাবে ঝড়ো সূচনা করলেও অন্য প্রান্তে ওয়ার্নার ছিলেন অচেনা। প্রথম ৫০ বলে করেছেন মাত্র ২৮ রান, চার মেরেছেন দুইটি। ৬৬ রান করে ফিঞ্চ ফেরার পর থেকেই কিছুটা খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন ওয়ার্নার। শেষ পর্যন্ত ১১৪ বলে ৮৯ রানে অপরাজিত ছিলেন, চার মেরেছেন ৮টি; স্ট্রাইক রেট ছিল ৭৮.০৭, যা ওয়ার্নারের নামের পাশে বেশ বেমানান।
ম্যাচসেরা ওয়ার্নার বলছেন, দীর্ঘ এক বছর পর মাঠে ফেরার কারণেই শুরুতে নার্ভাসনেস কাজ করছিল, ‘দলের সাথে যোগ দেওয়ায় ও পুরোদমে অনুশীলন করায় কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। ম্যাচের শুরুতে যখন ফিঞ্চ ঝড়ো সূচনা করল, তখন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছি। তাও ব্যাটিংয়ে নেমে রান করাটা সহজ ছিল না। গত ১২-১৪ মাসে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলেছি। ওয়ানডেতে সেরকম সুযোগ পাইনি। তাই নতুনভাবে ছন্দে ফেরাটা কঠিন ছিল। ইতিবাচক দিক হচ্ছে আমরা জিতেছি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে এটা আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’
ওপেনিং জুটিতে ফিঞ্চ-ওয়ার্নার দুজনেই রান পেয়েছেন। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই টপ অর্ডারের রানে থাকাটা দলের জন্য সুসংবাদ, মানছেন ওয়ার্নার, ‘সব বোলারই বলে ওয়ানডেতে ক্রিকেট ব্যাটসম্যানদের খেলা। তবে দুইটা নতুন বল, কিছু সুইং বোলিং টপ অর্ডারকে দ্রুত ফেরাতে পারে। শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানদের উচিত হবে কিছুটা বুঝে শুনে ইনিংসের সূচনা করা। সাধারণ কিছু ক্রিকেট শট খেলে নিজেকে থিতু করতে হবে।’
ওয়ার্নারের সঙ্গী ফিঞ্চ ৪৯ বলে করেছেন ৬৬ রান। ফিঞ্চ নিজেও মানছেন, ওয়ার্নার তাঁর ইনিংসের শুরুতে কিছুটা অস্বস্তিতে ভুগছিলেন, ‘ইনিংসের প্রথমভাগে সে নিজের স্বভাবসুলভ খেলাটা খেলতে পারেনি। বল ব্যাটে লাগছিল না, তাঁর ফুটওয়ার্কও ভালো ছিল না। তাও সে ক্রিজে টিকে ছিল। আপনাকে মনে রাখতে হবে নতুন বলে খেলা কঠিন কাজ, রানের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সে সেটাই করেছে এবং শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেছে।’