ক্রিকেটই এবার খেলোয়াড়দের ইদ: মাশরাফি
বাংলাদেশের বাতাসে এখন ইদের আমেজ। ফাঁকা হতে শুরু করেছে ঢাকা। আজ যেমন ছুটির দিনে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচটা পরিবারের সঙ্গে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে অনেকেরই। ইদ উৎসবের অগ্রিম উদযাপনটা বৃথা যায়নি, বাংলাদেশের জন্য আনন্দ শুরু হয়েছে দুই দিন আগেই। তবে ইদ আর বিশ্বকাপ এলেই ১৬ বছর আগের সেই দুঃস্বপ্নটা ফিরে আসে বারবার। মাশরাফি বিন মুর্তজা অবশ্য সেটা এড়িয়ে গেলেন। বরং মনে করিয়ে দিলেন, খেলাটাই এখন তাদের ইদ।
২০০৩ বিশ্বকাপের পুরোটাই একটা বিভীষিকার মতো কেটেছিল বাংলাদেশের। তার মধ্যে অবশ্য কানাডার সঙ্গে হারটা ভুলতে পারবেন না সেই দলের কেউই। প্রায় অপেশাদার একটা দলের কাছে হতভম্ব হতে হয়েছিল সেদিন। তাও আবার ইদের ঠিক আগের দিন। রাত জেগে বাংলাদেশের খেলা যারা দেখেছিলেন, তাদের ইদ মাটি হয়ে গিয়েছিল অনেকটাই।
এরপর ইদের ঠিক আগে আরও ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, চার বছর আগেই তো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে জয়টা চট্টগ্রামে এসেছিল ইদের ঠিক দুই দিন আগে। কাকতালীয়ভাবে, সেবারও সৌম্য সরকার খেলেছিলেন দারুণ একটা ইনিংস।
তারপরও ২০০৩ সালের সেই দুঃস্মৃতি ঘুরে ফিরে আসেই। মাশরাফিকে সেটা মনে করিয়ে দেওয়া হলে তিনি অবশ্য ইদের কথা ভুলেই গেলেন, ‘ইদ তো আসলে আমরা এই বছরে মাথায় আনিইনি। এই বছর আমরা খেলার ভেতরেই আছি। আমরা এখন এটাই উপভোগ করছি, এটাই এখন আমাদের কাজ। টুকটাক সবার পরিবার এখানে আছে, আশা করি তাদের সঙ্গে সময়টা ভালোই যাবে। ইদের চেয়ে এখন আমাদের বেশি এই কাজ শেষ করা ঠিকমতো।’
এমনিতেই ক্রিকেটাররা এক মাস ধরে দেশের বাইরে। থাকতে হবে আরও অন্তত এক মাসেরও বেশি। লম্বা এই সময়ে অনেকের পরিবার খেলা দেখার পাশাপাশি প্রিয়জনকে সঙ্গ দিতে গেছেন ইংল্যান্ডকে। খেলোয়াড়দের ইদটা অবশ্য আক্ষরিক অর্থেই মাঠে কাটাতে হতে পারে। ৫ জুন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ, সেটি ওভালেই। সেদিন ইদ হওয়ার সম্ভাবনা আছেই। মাশরাফির কথামতো তাই মাঠেই তাই কাটাতে হতে পারে ইদের দিনটি। সেদিন নিশ্চয় দেশের মানুষকে আরেকটি উপহার দিতে চাইবেন তারা।