• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    সাকিবের সঙ্গী হওয়ার জন্য কাউকে চাইছেন মাশরাফি

    সাকিবের সঙ্গী হওয়ার জন্য কাউকে চাইছেন মাশরাফি    

    কথাটা এসেছিল তামিম ইকবালের প্রসঙ্গে। বাঁ হাতের ব্যথা নিয়ে খেলেছিলেন প্রথম ম্যাচ, সেই অস্বস্তি নিয়ে আউট হয়ে গেছেন দ্রুত। দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুটা খারাপ হয়নি, কিন্তু শর্ট বলে আউট হয়েছেন। দুই ম্যাচে তামিমের কাছ থেকে যে প্রত্যাশা ছিল তা পূরণও হয়নি। সেটা সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে মনে করিয়ে দেওয়া হলে তিনি বললেন, আলাদা করে কারও ওপর দায়িত্ব চাপাতে রাজি নন তিনি। তবে মানলেন, সাকিব আল হাসানকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য অন্তত এক দুজনকে এগিয়ে আসা উচিত।

    এই বিশ্বকাপে যে সাকিব ‘ম্যান অন আ মিশনে’ নেমেছেন, সেটা প্রথম ম্যাচ থেকেই বোঝা গেছে। তিনে নেমে ফিফটি করেছিলেন, পরে এক উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। কাগজে কলমে কালকের ম্যাচে তার চেয়েও বেশি উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। দলের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ন ফিফটি করেছেন, তাও নব্বইয়ের বেশি স্ট্রাইক রেটে। বল করতে এসে প্রথম বলেই পেয়েছেন উইকেট, দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে আশা দেখিয়েছেন বাংলাদেশকে। কিন্তু বাকিদের পারফরম্যান্স সেই তুলনায় এখনো ধারাবাহিক নয়। কাল যেমন ব্যাটিংয়ে আর কাউকেই পাশে পাননি সাকিব। বলে মিরাজ-সাইফ উদ্দিন-মোসাদ্দেক উইকেট পেলেও শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতো কিছু করতে পারেননি কেউ।

    মাশরাফি আলাদা করে কারও না পারা নিয়ে ভাবছেন না, ‘আসলে সবসময় তো কোন খেলোয়াড়ের সময় একই রকম যায় না। একজন কারও ওপরে নির্ভর করাও ঠিক না। আর টুর্নামেন্টের এখন মাত্র শুরু, এক দুইটি ম্যাচ কারও খারাপ যেতেই পারে। মানসিকভাবে সবার অবস্থা এরকম থাকে না। সবাই সবার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এক দুইটা ম্যাচ ভালো করলে , সে যেটা চায় সেটা পেলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’

    সেটা বলতে বলতেই সাকিবের পাশে কাউকে থাকার প্রয়োজনীয়তা মনে করিয়ে দিলেন, ‘এই মুহূর্তে সাকিব অসাধারণ খেলছে। ওকে সাহায্য করার জন্য হয়তো কারও দরকার, যেটা আজকে কেউ আমরা করতে পারিনি। তো এই জায়গায় যদি আমরা কেউ এগিয়ে আসতে পারি তাহলে সেটা দলের জন্য ভালো হবে। কারও নাম আলাদা করে নেব না, সবাই চেষ্টা করছে।’

     

     

    এমন একটা ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর নেতিবাচক দিকগুলোই বেশি সামনে আসছে। তবে মাশরাফি ইতিবাচক দিকও কম দেখেন না, ‘আজকের ম্যাচ হারার পর নেতিবাচক দিক বেশি আসছে। কিন্তু ইতিবাচক দিক অনেক আছে। ২৪৪ করে এই উইকেটে নিউজিল্যান্ডের মতো দলের সঙ্গে ভালো করা এত সহজ কাজও না। আর পরের ম্যাচে ব্যাটিং আরও খারাপ হতে পারে। সব দলই টুকটাক খারাপ করেছে। আমাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজটা দেখুন। আজকে যখন ৯০-৯২ রান লাগবে, হাতে তখনও ৮ উইকেট। এরকম মুহূর্ত হলে অনেক সময় আমরা ম্যাচটা ছেড়ে দেই। কিন্তু আরা আজ শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছি। আজকে যে সুযোগটা তৈরি হয়েছিল, আমাদের ফিফটি ফিফটি ছিল। কিছুটা লাকও দরকার, সব সময় ভালো খেলে হয় না। নিজেদের কাজটাও করতে হবে, ভাগ্যেরও পক্ষে থাকতে হবে।’

    ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভাগ্যের ছোঁয়াটা খুব করেই দরকার মাশরাফির।