ডি ভিলিয়ার্সকে না ডাকায় আক্ষেপ নেই দক্ষিণ আফ্রিকার
বিশ্বকাপে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার লেজেগোবরে অবস্থা, ঠিক সেই মুহূর্তেই বোমাটি ফাটিয়েছিলেন তিনি। এবি ডি ভিলিয়ার্স জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর প্রস্তাবে সায় দেওয়া তো দূরে থাক, সেটা বিবেচনাও করেনি প্রোটিয়া টিম ম্যানেজমেন্ট! এবির এমন মন্তব্যের পর দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচক কমিটির আহ্বায়ক লিন্ডা জন্ডি বলছেন, ডি ভিলিয়ার্সকে বিশ্বকাপের আগে না ডাকায় তাদের কোন আফসোস নেই।
গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন এবি। তবে গত মে মাসে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণার আগে তিনি কথা বলেছিলেন ফাফ ডু প্লেসি, কোচ ওটিস গিবসন ও লিন্ডার সাথে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দীর্ঘ বিরতি ও বর্তমান স্কোয়াডের কাউকে বাদ দিতে চাননি বলেই এবিকে ফেরানোর প্রস্তাব নাকচ করে দেন তাঁরা।
লিন্ডা বলছেন, এবিকে না ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের কোন আফসোস নেই, ‘আমাদের বর্তমান দল, নির্বাচন পদ্ধতি ও ক্রিকেটারদের সাথে সৎ থাকতে হতো, এটা আসলে একটা আদর্শের ব্যাপার। বিশ্বকাপের আগে যারা পরিশ্রম করে নিজেদের জায়গা আদায় করে নিয়েছে, তাদের আমরা এভাবে বাদ দিতে পারি না। আর অবসর নেওয়ার এক বছর পর এভাবে কাউকে হুট করে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ফেরানোর কোন মানেই হয় না। তাঁকে দলে না নেওয়ায় তাই আফসোস নেই আমাদের।’
এবি লিন্ডাদের জানিয়েছিলেন, তিনি ১৮ এপ্রিলের পর থেকেই দলের সাথে যোগ দিতে পারবেন। ততদিনে চূড়ান্ত স্কোয়াড নির্বাচন করে ফেলেছিল প্রোটিয়ারা। লিন্ডা জানিয়েছেন, এবিকে গত বছর অবসর না নিতে তিনি পরামর্শ নিয়েছিলেন, ‘আমি তাঁকে গতবছর অবসর নিতে বারণ করেছিলাম। আমি তাঁকে বলেছিলাম নিয়মিত খেলাটা চালিয়ে যেতে। সে শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দলে থাকতো, বিশ্বকাপের জন্যও তাঁকে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু সে পিএসএল ও বিপিএলে খেলার সিদ্ধান্ত নিল জাতীয় দলের পরিবর্তে।’
এবির ফেরার কথা শুনে খুব বেশি অবাক হয়েছিলেন লিন্ডা, ‘যখন ডু প্লেসি ও গিবসন আমাকে তার ফেরার ব্যাপারে বলল, আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম। সে অবশ্যই বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। কিন্তু আমাদেরও একটা আদর্শ ছিল দল নির্বাচনে।’