পরের ম্যাচেই রশিদের ফেরার আশা নাইবের
লকি ফার্গুসনের বল সজোরে হেলমেটে লেগেছিল তাঁর, হয়েছিলেন বোল্ডও। রশিদ খানের উইকেট উদযাপনের চেয়ে অবশ্য তাঁকে নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন ছিলেন খোদ নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। মাঠ ছাড়ার পর নিজের প্রথম ‘কনকাশন’ টেস্টে উতরাতে পারেননি রশিদ, কিউইদের বিপক্ষে তাই বোলিংও করেননি। কবে নাগাদ মাঠে নামতে পারবেন আফগানদের সেরা বোলার, ম্যাচের পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল এটাই। আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব অবশ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরের ম্যাচের আগেই সুস্থ হয়ে উঠবেন রশিদ।
জিমি নিশমের বোলিং তোপে মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা। জবাবে সাত উইকেট হাতে রেখে জয় পায় নিউজিল্যান্ড। হারের চেয়ে রশিদের ইনজুরিটাই হয়ত বেশি ভাবাচ্ছিল নাইবদের। দুইদিন আগেই ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদের। রশিদ যেভাবে মাঠ ছেড়েছেন ও বোলিংয়ে নামতে পারেননি, সেটা বেশ চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল আফগানিস্তানকে।
নাইব পরবর্তীতে জানিয়েছেন, শুরুতে যেমনটা মনে হয়েছিল রশিদের অবস্থা ততটা গুরুতর না, ‘সে এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো বোধ করছে। ডাক্তাররা তাঁকে বলেছিল বোলিংয়ে না নেমে বিশ্রাম নিতে, তাই সে মাঠে নামেনি। তাঁকে নিয়ে ডাক্তার কোন ঝুঁকি নিতে চাননি।’
আফগানদের পরের ম্যাচ আটদিন পর। ১৫ জুন সোফিয়া গার্ডেনসে প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হবেন নাইবরা। এই এক সপ্তাহের মাঝেই সুস্থ হয়ে অনুশীলনে ফিরবেন রশিদ, আশা নাইবের, ‘আফগানি মানুষরা অনেক শক্ত হয়। সে এখন ভালো আছে। পরের ম্যাচের আগে এক সপ্তাহ সময় আছে, আশা করি আমরা তাঁকে পরের ম্যাচেই পাবো।’
শেষ পর্যন্ত রশিদ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফিরতে পারেন কিনা, সেটা সময়ই বলে দেবে।