'প্ল্যান এ, বি, সি, ডি' কাজে লাগাতে না পারার আক্ষেপ সাকিবের
এই মাঠে চ্যালেঞ্জটা যে অন্যরকম হবে সেটা জানাই ছিল। কার্ডিফের মাঠ দুই দ্দিকে দৈর্ঘ্যে কম, আবার দুই পাশে চওড়া। সেখানে নিজেদের লেংথটা একটু বদলে ফেলার দরকার ছিল বাংলাদেশি বোলারদের। কিন্তু সেটা তারা পারেনি, বলা ভালো পারতে দেয়নি ইংল্যান্ড। ম্যাচ শেষে সাকিব আল হাসান তাই হতাশ হয়েই বললেন, বাটলারের মতো কেউ ব্যাট করলে প্ল্যান এ,বি, সি, ডিতেও কাজ হয় না।
কার্ডিফের মাঠের কথা ভেবেই একজন বাড়তি পেসার নিয়েছিল ইংল্যান্ড। লিয়াম প্লাংকেটের সহজাত লেংথ এই মাঠের জন্য উপযুক্ত ছিল। সেই প্রমাণ দিয়েছেন ম্যাচেও। কিন্তু ব্যাক অব দ্য লেংথে টানা বল করে যেতে পারেননি বাংলাদেশের পেসাররা। শুরুতে জেসন রয় আর শেষে জস বাটলার-অইন মরগানরা এলোমেলো করে দিয়েছেন লেংথ। সাকিবের কন্ঠে তাই পরিকল্পনা কাজে লাগাতে না পারার আক্ষেপ ঝরেছে। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন দলের সীমাবদ্ধতার কথা, ‘প্ল্যান তো থাকে। তবে বাটলারের মতো কেউ ব্যাটিং করলে এ, বি, সি ,ডি থাকলেও কাজ হয়না। ডাইমেনশন দেখেন, ছোট, সামনে পিছনে। আমাদের কেউ ১৪০-১৪৫ এ করে না, যে স্লোয়ার বা স্লোয়ার বাউন্সার দিয়ে দুইদিকে খেলাবে। ডাইমেনশন পক্ষে ছিল না। সেটা বলতেই হবে। নেগেটিভ সাইড ছিল। ওভালে যেরকম মাঠ বড় ছিল, আমাদের স্পিনারদের ভ্যারিয়েশন কাজে লাগানোর সুযোগ ছিল। এখানে সেটা সম্ভব হয়নি। ’
বাংলাদেশের পেসারদের গতির অভাবটা পুরোপুরিই কাজে লাগিয়েছে ইংল্যান্ড। উইকেটের সামনে গিয়ে খেলতে পেরেছে, আড়াআড়ি খেলতে হয়নি। অন্যদিকে জফরা আর্চার-মার্ক উডরা বাড়তি গতি দিয়ে কাজটা কঠিন করে তুলেছেন আরও।
মাঠ নিয়ে বাংলাদেশের একটু অনুযোগ থাকতে পারে। তবে এই কার্ডিফেই তো আরও দুইবার জিতেছিল বাংলাদেশ। সাকিব এটাকে তাই অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাইলেন না, ‘সোজা বাউন্ডারি ছোট বলে আমাদের কাজ অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছিল। মাঠের ডাইমেনশনটা আমাদের পক্ষে ছিল না। তবে কারণ দেখালে তো দেখানো যেতেই পারে। আমাদের চেষ্টা করতে হবে, পরের ম্যাচে যে ধরনের কন্ডিশন থাকে; যে ধরনের ডাইমেনশন থাকে, তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে।”
ছবি: এএফপি।