'ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে ডি ভিলিয়ার্স বেশি দেরি করে ফেলেছিল'
বিশ্বকাপ চলার মাঝেই বোমাটা ফাটিয়েছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। এবি জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের আগে অবসর ভেঙ্গে জাতীয় দলে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি, তবে তাঁর এই আবেদন আমলে নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। দলে ফেরার জন্য সবার আগে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির কাছেই ফোন করেছিলেন তিনি। এ নিয়ে গত কয়েকদিন কম আলোচনা হয়নি। গতকাল সাউদাম্পটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে ডু প্লেসি বলছেন, এবি ফিরতে অনেক দেরি করে ফেলেছিলেন।
আইপিএল চলার সময় ডু প্লেসিকে ফোন দিয়ে এবি জানিয়েছিলেন, তিনি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকতে চান। কোচ ওটিস গিবসন ও টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে আলোচনা করে ডু প্লেসি তাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর জাতীয় দলে ফেরা আর সম্ভব না।
এবি যখন ফিরতে চেয়েছিলেন তখন তাকে স্কোয়াডে রাখার আর সুযোগ ছিল না, মানছেন ডু প্লেসি, ‘চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণার আগের রাতে তাঁর সাথে কথা হয়েছিল। আমি তাকে শুরুতেই বলে দিয়েছিলাম, অনেক দেরি হয়ে গেছে। তাও কোচ ও নির্বাচকদের সাথে আলোচনা করবো বলে জানিয়েছিলাম। পরেরদিন যখন সবার সাথে আলোচনা করলাম, সবাই একমত হলো স্কোয়াডে এবিকে ফেরানো ৯৯.৯৯ শতাংশ অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’
নিজেদের প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন পারফরম্যান্সের মাঝেও ডি ভিলিয়ার্সের ফেরা নিয়ে নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। এ নিয়ে কোচ গিবসন ও পেসার লুঙ্গি এনগিদি প্রকাশ্যেই বলেছেন, এই ব্যাপারটা দলের মনঃসংযোগ নষ্ট করছে। ডু প্লেসিও তাদের সাথে একমত, ‘বিষয়টা আসলে হুট করেই সামনে এসেছে, আবার চলেও গেছে। এটা প্রভাব ফেলেছে ঠিকই, তবে হয়ত খুব বেশি না। খবরটা আসার পর সবাই স্বাভাবিকভাবেই এটা নিয়ে আলোচনা করেছে। এরপর দলের অন্যরা এটাকে পেছনে ফেলে ভবিষ্যতের কথা ভেবেছে।’
অবসর ভেঙ্গে জাতীয় দলে ফিরতে চেয়েছিলেন এবি, এই ব্যাপারে তাঁর পাশে থাকতে পারেননি তিনি। ডু প্লেসির সাথে কি তাহলে ডি ভিলিয়ার্সের বন্ধুত্বের ফাটল ধরেছে? ডু প্লেসি এটা হেসেই উড়িয়ে দিলেন, ‘এবি আর আমি এখনো খুব ভালো বন্ধু। এই ঘটনা এতে কোন প্রভাব ফেলেনি। আমাদের বন্ধুত্বটা অনেক পুরনো, এরকম ছোটখাটো ঘটনা এটায় ফাটল ধরাতে পারবে না।’