হোটেল, অনুশীলন নিয়ে আইসিসির কাছে শ্রীলংকার অভিযোগ
এই বিশ্বকাপে শেষবার তাঁরা মাঠে নেমেছিলেন ৪ জুন। গত এগারো দিনে বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে শ্রীলংকার দুটি ম্যাচ। ম্যাচ খেলতে না পারায় অনুশীলনই ছিল লংকানদের নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার একমাত্র জায়গা। সেই অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা নিয়েও সন্তুষ্ট নয় শ্রীলংকা। দলের ম্যানেজার অশন্তা ডি মেল জানিয়েছেন, প্রথম দুই ম্যাচের পিচ, হোটেল ও অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আইসিসির ওপর চটেছেন তাঁরা, করা হয়েছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগও।
কার্ডিফে নিজদের প্রথম দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলংকা। দুই ম্যাচের পিচেই ছিল ঘাস। প্রথম ম্যাচে কিউইদের কাছে বড় ব্যবধানে হারে তাঁরা, আফগানদের বিপক্ষে জয়টাও খুব সহজে আসেনি। আজ ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও থাকতে পারে সবুজ পিচ। এমন পিচ নিয়ে তাই একদমই খুশি নন ডি মেল, ‘আমরা যে দুই ম্যাচে খেলেছি, দুটিতেই সবুজ পিচ ছিল। যে দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে, সেখানেও একই অবস্থা। একই ভেন্যুতে অন্য দল খেলার সময় পিচ ব্যাটিং সহায়ক হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওভালের ম্যাচেও পিচ সবুজ। আমরা বিনা কারণে অভিযোগ করছি না, এটা খুবই অন্যায় হচ্ছে। আইসিসি কিছু দলের জন্য একরকম পিচ তৈরি করে, বাকি দলের জন্য অন্যরকম।’
শুধু পিচ নয়, হোটেল ও অনুশীলনের ব্যবস্থাপনা নিয়েও হতাশ ডি মেল, ‘কার্ডিফে অনুশীলনের জন্য যে ব্যবস্থা ছিল সেটা খুবই হতাশাজনক। তিনটি নেটের বদলে তাঁরা আমাদের দুটি নেট দিয়েছে। ব্রিস্টলের হোটেলে সুইমিংপুল ছিল না। দলের জন্য, বিশেষ করে ফাস্ট বোলারদের জন্য এটা খুবই দরকারি। এটা তাদের মাংসপেশি শিথিল করতে সাহায্য করে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের হোটেলে সুইমিংপুল ছিল। আমরা আইসিসিকে এসব নিয়ে চারদিন আগেই চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু কোন উত্তর পাইনি। উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত আমরা চিঠি লিখেই যাব।’
আইসিসি অবশ্য বলছেন, পিচ তৈরির ব্যাপারে শ্রীলংকার সাথে কোন 'অন্যায়' হয়নি, ‘আইসিসি ইভেন্টের সময় আমরা পিচের জন্য স্বাধীন একজন উপদেষ্টা রাখি। ২০১৯ বিশ্বকাপেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ইংলিশ কন্ডিশনে এখন পর্যন্ত যতগুলো পিচ তৈরি করা হয়েছে সবকয়টিতেই আমরা খুশি। এই পরিকল্পনা চার বছর ধরেই করা হচ্ছিল। সব দল যেন খুশি হয় সেভাবেই পিচ প্রস্তুত করা হয়েছে। সব দলকে সমানভাবেই দেখা হচ্ছে।’
এদিকে লংকান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে হোটেল ও অনুশীলনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা না জানালেও পিচ নিয়ে তিনিও হতাশ, ‘আমি আগেও বলেছি মানুষ ওয়ানডে থেকে বিনোদন চায়। তাঁরা ১০০ ওভারের ম্যাচ চায়। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচের পিচটা যেমন ব্যাটিং সহায়ক ছিল। ওভালের পিচটা অনেক সবুজ। আমরা এরকম কিছু প্রত্যাশা করি না। সব উইকেটই একইরকম হওয়া উচিত।’