আফগানিস্তানকে আর সুযোগ দেবেন না ডু প্লেসি
চার ম্যাচে তিনটিতে হার, অন্য ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত। মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার নবম স্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা তাই প্রোটিয়াদের জন্য বাঁচা মরার লড়াই। সেমিতে যাওয়ার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে জন্য আফগানদেরও আজ জয়ের বিকল্প নেই। কার্ডিফে দিবারাত্রির এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি বলছেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আফগানদের কোন সুযোগ দেবে না তাঁর দল। সবাই তাদের ‘বাতিলের খাতায়’ ফেলে দিলেও তাঁরা যে এখনো ‘ভয়ংকর’ দল, সবাইকে এটাই দেখিয়ে দিতে চান ডু প্লেসি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে শুরু। এরপর বাংলাদেশ ও ভারতের বিপক্ষেও জয়ের মুখ দেখেনি প্রোটিয়ারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের শুরুটাও ভালো হয়নি তাদের। ৭.৩ বলের মাঝে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে ছিলেন ডু প্লেসিরা। বৃষ্টির কারণে আর খেলা না হওয়ায় এই বিশ্বকাপে প্রথম পয়েন্ট পান তাঁরা। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে আজ আফগানদের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই ডু প্লেসিদের সামনে।
দেওয়ালে পিঠ থেকে গেলেও দক্ষিণ আফ্রিকা যে ভয়ংকর দল, সেটা সবাইকে দেখিয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর ডু প্লেসি, ‘সবাই আমাদের এরই মাঝে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছে। দেওয়ালে পিঠ থেকে গেছে আমাদের। আশা করি সবাই পরের ম্যাচে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারবে। আমরা যদি সত্যিই এটা করতে পারি, তাহলেই সবাই দেখতে আমরা কতটা ভয়ংকর দল। আমরা এই টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে পারিনি।’
দক্ষিণ আফ্রিকার মতো এখন পর্যন্ত জয়ের দেখা পায়নি আফগানরাও। তাঁরাও জয়ের জন্য মরিয়া থাকবে। পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা আফগানদের অবশ্য একদমই খাটো করে দেখছেন না ডু প্লেসি, ‘আধুনিক যুগে কোন দলকে ছোট করে দেখা উচিত না। আফগানিস্তানকে দুর্বল দল বলার কোন সুযোগই নেই। তাদের এমন কিছু ক্রিকেটার আছে যারা যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। ম্যাচ জেতার জন্য দুই-তিনজনই যথেষ্ট। বিশেষ করে রশিদ খানের মতো বোলার আছে তাদের। তবে আমরা তাদের কোন সুযোগ দিতে চাই না।’
এদিকে ইনজুরির কারণে আজকের ম্যাচেও মাঠে নামা নিয়ে সংশয়ে আছেন পেসার লুঙ্গি এনগিদি। ডু প্লেসি জানালেন, তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চান না তাঁরা, ‘সে এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয়। হ্যামস্ট্রিংয়ের ব্যাপারটা একটু জটিল, বিশেষ করে ফাস্ট বোলারদের জন্য। ম্যাচের আগমুহূর্তেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। যদি সে ৯০ শতাংশ ফিট থাকে আর বৃষ্টি হয়, তাহলেও কি তাকে নেওয়াটা ঝুঁকির কাজ হবে না? যদি তাকে পূর্ণ বিশ্রাম দিলে পরের চারটি বড় ম্যাচ খেলতে পারে, তাহলে সেটাই হয়ত সঠিক সিদ্ধান্ত হবে।’