• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    'ক্রিকেট খেলতে সিক্স প্যাক নয়, লাগে দক্ষতা'

    'ক্রিকেট খেলতে সিক্স প্যাক নয়, লাগে দক্ষতা'    

    ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো এক সময়ের দৃশ্যই হবে। ড্রেসিংরুমের সামনে আদুল গায়ে দাঁড়িয়ে আছেন লাসিথ মালিঙ্গা। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে উঁকি দিচ্ছে তাঁর বেঢপ ভুড়ি। এমনকি মাহেলা জয়াবর্ধনেও ছবিটা পোস্ট করেছেন তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। সেটা মজা করেই করা, তবে পরে আইসিসি ওয়েবসাইটে লেখা কলামে জয়াবর্ধনে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন মালিঙ্গাকে। বলেছেন, ক্রিকেট খেলতে সিক্স প্যাক নয়, লাগে দক্ষতা।

    মালিঙ্গা কাল যেরকম বোলিং করেছেন, তাতে তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা চলছে। বয়স হয়ে গেছে ৩৫, সমসাময়িকদের মধ্যে এক মাশরাফি ছাড়া বাকি প্রায় সব পেসার এখন জাতীয় দলের বাইরে। মালিঙ্গাও একটা সময় চলে গিয়েছিলেন বাইরে, গত এশিয়া কাপে ফিরেছেন দুর্দান্তভাবে। এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ম্যাচে তিন উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানকে হারানোতে রেখেছেন বড় অবদান। তবে সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলেন কালকের ম্যাচের জন্য।

    ইংল্যান্ডের যে ব্যাটিং আক্রমণ, যে কোনো বোলিংকে ছিড়েখুঁড়ে ফেলার জন্য যথেষ্ট। ২৩২ তো ওয়ানডেতে আজকাল কোনো রানই নয়। সেটাকে যথেষ্ট বানিয়ে ফেলার শুরুটা মালিঙ্গাকে দিয়েই, শুরুতে এলবিডব্লু করলেন বেইরস্টোকে। এরপর ভিন্সকে ফিরিয়ে পেলেন দ্বিতীয় উইকেট। জো রুট ম্যাচটা বের করে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন, পরে এসে ফেরালেন তাকে। আর বাটলারকে এলবিডব্লু করে শ্রীলংকাকে দিলেন সবচেয়ে বড় লাইফলাইন। চার উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা, বিশ্বকাপে হয়ে গেছে ৫০ উইকেট। যে কীর্তি এর আগে ছিল শুধু গ্লেন ম্যাকগ্রা, স্বদেশী মুত্তিয়া মুরালিধরন ও ওয়াসিম আকরামের।

    অথচ এই মালিঙ্গার ফিটনেস নিয়ে কত কথা হয়েছে। মালিঙ্গা তো মাঠেই মোক্ষম জবাব দিয়েছেন, বাকিটা যোগ করে দিয়েছেন জয়াবর্ধনে, ‘ক্রিকেট সিক্স প্যাকের খেলা নয়। এখানে দরকার স্কিল, যেটা মালিঙ্গা কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দেখিয়েছে। এর আগে অনেকবার সে এমন কিছু করেছে। তবে তাকে সেরা অবস্থায় দেখা ছিল আসলেই দারুণ।’

    বিশেষ করে নতুন বলে মালিঙ্গার বোলিংয়ের প্রশংসা করলেন আলাদা করে, ‘নতুন বলে ও কিছু একটা করার জন্য নেমেছিল, শুরুতেই দুইটি উইকেট নিয়েছে। ২৩২ রান নিয়ে নামার পর এটা খুব দরকার ছিল। সেরপর জো রুট যখন ম্যাচটা বের করে নিয়ে যাচ্ছে, মালি আবার উইকেট পেল। করুনারত্নে ওকে বলেছিল উইকেট চাই ওর, মালি সেটা এনে দেয়।এরপর বাটলারকে আউট করল ও, যে ম্যাচটা জিতিয়ে আনতে পারত। বড় খেলোয়াড়েরা এভাবেই বড় মঞ্চে পারফর্ম করে।’

    মধ্যে শ্বশুরের মৃত্যুতে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন মালিঙ্গা, আবার যোগ দিয়েছিলেন দলের সঙ্গে। করুনারত্নে সেই উদাহরণ দিয়ে বোঝালেন, কতটা ভরসা ছিল ‘মালির’ ওপর, ‘ও একজন কিংবদন্তি। সে যা-ই করে, সেটা দুর্দান্ত হয়। মধ্যে ও যখন আমাকে বলল, দেশে যেতে চায় আমি হ্যাঁ বলেছিলাম। কারণ আমি জানি ও ফিরে এসে নিজের সেরাটা দেবে। এবং সেটা দিয়েছেও। ’