ব্রাথওয়েটকে দুষতে চান না হোল্ডার
সাত বলে দরকার ছিল ছয় রান, হাতে এক উইকেট। ৪৯তম ওভারের শেষ বলে কার্লোস ব্রাথওয়েট সিংগেল না নিয়ে মারতে গেলেন ছয়, তাতেই বাঁধল বিপত্তি। ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ব্রাথওয়েট তালুবন্দি হওয়াতেই স্বপ্নভঙ্গ হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ব্রাথওয়েট যদি ছয় মেরেই ম্যাচ জেতার চেষ্টা না করতেন, তাহলে হয়ত ম্যাচের ফলাফল অন্যরকমও হতে পারত, বলছেন অনেকেই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ রানের হারের পর সংবাদ সম্মেলনে ক্যারিবির্যান অধিনায়ক জেসন হোল্ডার বলছেন, দলের হারের জন্য ব্রাথওয়েট কোনভাবেই দায়ী না, কারণ তিনি না থাকলে দল জয়ের ধারেকাছেও যেতে পারত না।
ম্যাচের বাকি তখন পাঁচ ওভার, জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার আরও ৪৭ রান, হাতে মাত্র এক উইকেট। সেখান থেকে দুর্দান্তভাবে ক্যারিবিয়ানদের জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন ব্রাথওয়েটই, পূর্ণ করেছেন সেঞ্চুরিও। ম্যাট হেনরির বলে টানা তিনটি ছয় মেরে ফিরিয়ে এনেছিলেন তিন বছর আগের ইডেন গার্ডেনসের সেই স্মৃতি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেবারের মতো অবিশ্বাস্য কিছু করতে পারেননি ব্রাথওয়েট।
অনেকেই বলছেন, ব্রাথওয়েটের উচিত ছিল শেষ বলে সিংগেল নিয়ে পরের ওভারে স্ট্রাইক নেওয়ার চেষ্টা করা। হোল্ডার অবশ্য ব্রাথওয়েটকে দোষারোপ করতে চান না, ‘ব্রাথওয়েট না থাকলে তো আমরা ওই পরিস্থিতিতে পৌঁছাতে পারতাম না। আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত সে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করেছে। সে যেভাবে আউট হয়েছে, ক্রিকেটে এটা হতেই পারে। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমরা শুরুতে অনেক পিছিয়ে ছিলাম। কার্লোস ক্রিজে এসে ২০ ওভার ব্যাটিং করেছে, এটাই যথেষ্ট ছিল ভালো একটা জুটি গড়ে দলকে জয় এনে দেওয়ার। কার্লোসের সাথে শেল্ডন, ওশানও ভালো ব্যাটিং করেছে। তারাই আমাদের জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল।’
ছয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট তিন। কিউইদের কাছে এই হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেমিতে ওঠার আশাটাও শেষ হয়ে গেলো। এমন হার থেকেও অবশ্য ইতিবাচক দিক খুঁজতে চান হোল্ডার, ‘এই ম্যাচে অনেক ইতিবাচক দিক আছে। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে গেছি। সবাই যখন ভেবেছিল ম্যাচ শেষ, এরপরই আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। কার্লোস ও লোয়ার অর্ডারকেই সব কৃতিত্ব দিতে হবে। কার্লোসের কারণেই একটা জয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা যে জিততে পারিনি, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’