৯২ এর সাথে মিল নিয়ে ভাবছেন না সরফরাজ
প্রথম তিন ম্যাচের পর অনেকেই মজা করে বলছিলেন ব্যাপারটা। ১৯৯২ বিশ্বকাপে ঠিক যেভাবে এগোচ্ছিল পাকিস্তান, এবারও তাদের যাত্রাটা চলছে একইভাবেই। পরের চার ম্যাচেও বজায় থাকল সেই অদ্ভুত কাকতাল। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলা পাকিস্তানের প্রতিটি ম্যাচের ফলাফল ঠিক যেন ১৯৯২ সালের প্রথম সাত ম্যাচের মতো! তাহলে কি এবারও শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিতবে পাকিস্তান? স্বভাবতই প্রশ্নটা উঠে এলো সংবাদ সম্মেলনেও। গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে দারুণ এক জয়ের পর পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ বলছেন, ১৯৯২ সালের সাথে এবারের বিশ্বকাপের অদ্ভুতুড়ে মিলের ব্যাপারটা নিয়ে একদমই ভাবছেন না তিনি।
প্রথম ম্যাচে হার, পরের ম্যাচে জয়, তৃতীয় ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত। চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচে হার, ষষ্ঠ ও সপ্তম ম্যাচে জয়। ২০১৯ বিশ্বকাপের ফরম্যাট যেমন ১৯৯২ সালের মতো, পাকিস্তানের প্রথম সাত ম্যাচের ফলাফলও হুবহু মিলে গেছে সেবারের আসরের মতো। অনেকেই তাই মজা করে বলছেন, ১৯৯২ সালে ইমরান খান যেমন পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন, এবার সরফরাজের হাতেও তেমনিভাবে উঠবে শিরোপা।
সরফরাজ অবশ্য দুই বিশ্বকাপের এসব মিল নিয়ে একদমই ভাবছেন না, ‘দুই বিশ্বকাপের মিল নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আমরা ১৯৯২ বিশ্বকাপের সাথে এবারের মিল নিয়ে একটুও ভাবছি না। প্রতিটা ম্যাচ নিয়েই আলাদাভাবে ভাবছি। দল হিসেবে আমরা আত্মবিশ্বাসী, এজন্যই আমরা ভালো খেলা ও সেমিতে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’
১০১ রানের দুর্দান্ত এক অপরাজিত ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছে বাবর আজম। সরফরাজ বলছেন, এটা তার দেখা অন্যতম সেরা ইনিংস, ‘বাবরের ইনিংসটা আমার দেখা অন্যতম সেরা। পিচ মোটেও সহজ ছিল না। আমরা পুরো পঞ্চাশ ওভার ব্যাট করতে চেয়েছিলাম। বাবর ও হারিস যেভাবে চাপ সামলে ব্যাটিং করেছে সেটা অসাধারণ। এমন ফলাফলে আমরা দারুণ খুশি। পাকিস্তান দলের পিঠ যখনই দেওয়ালে ঠেকে যায়, তখনই আমরা ভালো খেলে ঘুরে দাড়াই।’
পাকিস্তান কি পারবে ১৯৯২ এর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে?