• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    'দশবারের মধ্যে আটবারই কাজে আসে ধোনির অভিজ্ঞতা'

    'দশবারের মধ্যে আটবারই কাজে আসে ধোনির অভিজ্ঞতা'    

    এম এস ধোনি যেভাবে কাল খেলছিলেন, ভারতের সমর্থকদের ধৈর্যচ্যুতি হওয়াটা অস্বাভাবিক ছিল না খুব একটা। এমনিতেই ছয়ে নেমে গিয়েছিলেন, ৪৫-৪৬ ওভার চলে গেলেও ধোনির মধ্যে হেলদোল ছিল না খুব একটা। শেষ দুই তিন ওভারেই একটু গা ঝাড়া দিয়েছিলেন, তাতেই ২৬৮ পর্যন্ত গেছে ভারত। পরে দেখা গেছে, এই উইকেটে এই রান করাটাই কত কঠিন। ম্যাচ শেষে বিরাট কোহলি তাই প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অগ্রজকে। বলেছেন, দশ বারের মধ্যে আটবারই কাজে আসে ধোনির অভিজ্ঞতা।

    এই বিশ্বকাপে ধোনির ‘মন্থর’ ব্যাটিং নিয়ে একটু ফিসফাস উঠেছেই, সেটা কিছুটা রূপ নিয়েছে সমালোচনাতেও। অবশ্য এখন পর্যন্ত ধোনির ‘ধীরে চলো’ নীতি ঠিকই প্রমাণিতও হয়েছে, কালও শেষ ১০ বলে ২৬ রান নিয়ে শেষ পর্যন্ত ৬১ বলে করেছেন ৫৬। ম্যাচ শেষে ধোনির হয়ে তার সমালোচকদের জবাব দিলেন কোহলি নিজেই, ‘খারাপ দিন যে কারও যেতে পারে। ওর একটা খারাপ দিন গেলেই সবার হইচই শুরু হয়ে যায়। মাঠে কী করতে হবে, সেটা সে খুব ভালোমতোই জানে। আমরা ড্রেসিংরুমে সবাই ওর ওপর পুরোপুরি আস্থা রাখি। ওকে দলে পাওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, আপনার যখন বাড়তি ১৫-২০ রান লাগবে, তখন টেল এন্ডারদের নিয়ে কীভাবে সেই রান আসবে সেটা ধোনি খুব ভালোমতোই জানে।’

    ‘আমরা একটা সময় ২৫০ পর্যন্ত হবে ভেবেছিলাম, কিন্ত ধোনির জন্য সেটা ২৭০ রানের কাছাকাছি গেছে। পান্ডিয়ারও বড় অবদান ছিল, কিন্তু শেষ দিকে ধোনির দুই ছক্কা বড় একটা আশা দিয়েছে আমাদের। আমরা দেখেছি, দশ বারের মধ্যে আটবারই ধোনির অভিজ্ঞতা কাজে আসে।’

    ধোনির কাছ থেকে রানের চেয়েও আরও বড় কিছু পাচ্ছে ভারত, সেটাও বলেছেন কোহলি। স্ট্রোকমেকারে ভরা একটা দলে ধোনির ফিনিশিং কতটা জরুরি, সেটাও মনে করিয়ে দিলেন ভারত অধিনায়ক, ‘আমাদের এখানে অনেকে আছে যারা ইতিবাচক ক্রিকেট খেলে, আর নিজেদের ওপর ভরসা রাখে। তবে ধোনি আমাদের বার্তা দেয়, এই পিচে এত রানই পার স্কোর। আমাদের বোলারদেরও খুব ভালো বুঝে সে।’ এখানে আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচের উদাহরণও টানলেন কোহলি, ‘ও যখন বলেছে ২৬০ বা ২৬৫ রান যথেষ্ট, তখন আমরা ৩০০ রানের আশা বাদ দিয়েছি। শেষ পর্যন্ত ২৩০ পর্যন্ত করতে পেরেছি আমরা। ধোনি এমন একজন, যে মাঠে প্রতিপক্ষের শক্তি হিসেব করে মাপা ক্রিকেট খেলে। কোনো না কোনোভাবে জয়ের একটা পথ বের করে ফেলে। আমরা সবাই জানি, সে একজন কিংবদন্তি। আমাদের জন্য দারুণ কাজ করে যাচ্ছে সে, আশা করি সামনেও করবে।’