স্টার্ক-কামিন্সকে বিশ্রাম দিতে চান না ফিঞ্চ
অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে সবার আগে। শেষ দুই ম্যাচের আগে তাই বেশ নির্ভার অ্যারন ফিঞ্চের দল। সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের অজিরা কি বোলিংয়ের দুই প্রধান অস্ত্র মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সকে বিশ্রাম দেবে? নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য ফিঞ্চ এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে জানালেন, স্টার্ক-কামিন্সকে বিশ্রাম দিয়ে তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের ছন্দপতন ঘটাতে চান না।
সাত ম্যাচে স্টার্কের উইকেট ১৯টি, আছেন শীর্ষ উইকেটশিকারিদের তালিকার শীর্ষে। সমান ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে কামিন্স আছেন এই তালিকার ছয় নম্বরে। এই পেস জুটির দুর্দান্ত বোলিংয়েই দুই ম্যাচ হাতে রেখে সেমি নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে স্টার্ক-কামিন্স জুটিকে বিশ্রাম দিতে চাইছেন না ফিঞ্চ, ‘তাদের বিশ্রামের ইস্যুটা ওঠা অবশ্য স্বাভাবিক। তবে এই মুহূর্তে তারা দুজন একদমই ক্লান্তি অনুভব করছে না। আমরা চাই না তাদের দুর্দান্ত এক যাত্রায় ভাটা পড়ুক। তারা নিজেরাও এখন বিশ্রাম চাইছে না। দলের জয়যাত্রা বজায় রাখার জন্য ভূমিকা রাখতে চায় সবাই। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে আমরা হেরে গিয়ে মোমেন্টাম নষ্ট করতে চাই না। ’
আজকের ম্যাচের পর অস্ট্রেলিয়ার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ৬ জুলাই। ফিঞ্চ তাই অন্য ক্রিকেটারদের বিশ্রাম নিয়েও খুব একটা ভাবছেন না, ‘পরের ম্যাচের আগে এক সপ্তাহের বিরতি আছে। আমরা তাই বিশ্রাম চাইছি না। এমনিও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের আগে বোলাররা যথেষ্ট বিশ্রাম পাবে। শুরুর দিকে খুব তাড়াতাড়িই হয়ে গেছে বেশ কিছু ম্যাচ। এরপর চারদিনের বিরতিতে খেলেছি, এবার সেটা সাত দিন। তাই ক্লান্তি আসার কোন কারণ নেই।’
সেমি নিশ্চিত হলেও আজকের ট্রান্স-তাসমানিয়ান লড়াইয়ের আগে উত্তাপটা ঠিকই পাচ্ছেন ফিঞ্চ, ‘নিউজিল্যান্ড প্রতিটা ম্যাচেই শেষ পর্যন্ত লড়াই করে, সেটা বিশ্বকাপের ফাইনাল হোক কিংবা ক্লাবের ম্যাচ। উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে তাদের দলটা এভাবেই গড়ে উঠেছে। তাদের ফিল্ডিংটাও দুর্দান্ত। প্রতিপক্ষের ওপর এটা চাপ সৃষ্টি করে। এই ম্যাচটা দারুণ হবে।’