'মাঠের বাইরের চাপে চিন্তিত নয় ইংল্যান্ড'
ফেভারিট তকমাটা তাদের গায়ে লেগেছিল বিশ্বকাপের অনেক আগে থেকেই। ঘরের মাঠে শুরুটা ভালো করলেও গত সপ্তাহে খেই হারিয়ে ফেলেছে অইন মরগানের ইংল্যান্ড। যাদের হাতে শিরোপা দেখতে পাচ্ছিলেন অনেকেই, সেই ইংলিশরাই এখন বিদায় নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দর্শকের প্রত্যাশার চাপের পাশাপাশি বাদ পড়ার চাপটাও যোগ হচ্ছে। সেই চাপেই কি আবার ভেঙে পড়বেন তারা? ইংলিশ উইকেটকিপার জস বাটলার অবশ্য বলছেন, মাঠে ও মাঠের বাইরের চাপ খুব একটা প্রভাব ফেলছে না দলের ক্রিকেটারদের ওপর।
শ্রীলংকা ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে টানা দুই ম্যাচ হেরেছে ইংল্যান্ড। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ম্যাচই এখন কার্যত ‘কোয়ার্টার ফাইনাল’, জো রুট বলেছিলেন এমনটাই। কালকের ম্যাচের আগে বাটলার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাঁচা মরার ম্যাচ হলেও চাপ নেবে না ইংল্যান্ড, ‘চাপ নিয়ে কথা হচ্ছে অনেক। তবে আমার মনে হয় চাপটা মাঝে মাঝে শাপে বর হয়। টানা দুই হারের পরেও ড্রেসিংরুমে সবাই ভালো মুডে আছে। কিছু বাড়তি চাপ তো এমন পরিস্থিতিতে থাকবেই। চাপ যে একবারে অনুভব করিনি সেটা বলাটা ভুল হবে। আমরা সামনের দুই ম্যাচের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত।’
আগের দুই ম্যাচের হার কিছুতেই মানতে পারছেন না বাটলার, ‘শ্রীলংকার বিপক্ষে আমরা যেভাবে খেলেছি, সেটায় পুরো দলই খুব হতাশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনিংসের শুরুতে তাদের উইকেট নিতে পারিনি। এটাই অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে দিয়েছে। সামনে দুইটা বড় ম্যাচ আছে। এখনো সেমিতে যাওয়ার সমীকরণ আমাদের নিজেদের হাতেই আছে। আমরা দুই ম্যাচ জিতেই পরের রাউন্ডে যেতে চাই।’
অস্ট্রেলিয়ার কাছে ইংল্যান্ডের হারের পর অস্ট্রেলিয়ার সহকারী কোচ রিকি পন্টিং খানিকটা খোঁচা মেরেই বলেছিলেন, বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ৪০০ রান করবে, এমনটা আশা করা ছিল বড় ভুল। বাটলার এর জবাবে বলেছেন, অনেকেই ইংল্যান্ডকে তাদের প্রাপ্য সম্মানটা দিতে চান না, ‘আমরা অনেক সময়ই যোগ্য সম্মানটা পাই না। ব্যাটিং সহায়ক পিচ থাকলে রেকর্ড ভাঙা সহজ। কিন্তু ঘরে ও বাইরে বহুবার বড় রান করা সম্ভব না যদি আমরা কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে না নেই। এটা একটা দলের বড় সাফল্য। ফেভারিট কিংবা আন্ডারডগ তকমা নিয়ে আমি ভাবি না। আমাদের ভালো খেলতে হবে, জিততে হবে, এটাই একমাত্র কথা। ভারত খুবই শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে ম্যাচটাও খুব কঠিন হবে।’