• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    কমলা জার্সিকে কোহলির দশে আট

    কমলা জার্সিকে কোহলির দশে আট    

    নিজেদের চিরপরিচিত নীলের বাইরে অন্য কোনও জার্সিতে হয়তো আপনি মনে করতে পারবেন না ভারতকে। বিশ্বকাপের আগেই অ্যাওয়ে জার্সির ঘোষণা দিয়েছিল ভারত। কাল টুইটারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে দু'বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের প্রথম 'অ্যাওয়ে' জার্সি উন্মোচিত হয়েছে। ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে নিজেদের নতুন জার্সি বেশ পছন্দই হয়েছে অধিনায়ক বিরাট কোহলির। জার্সিটিকে দশে আট দিয়েছেন তিনি; বলেছেন, ক্রিকেটে বর্তমান জার্সিগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা এটি।

     

     

    ৩০ জুন বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে নিজেদের ৭ম ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ভারত। ইংলিশদের জার্সিও আকাশী নীল হওয়ায় নতুন জার্সি উন্মোচন করেছে বিসিসিআই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই জার্সিতেই মাঠে দেখা যাবে কোহলিদের। তবে জার্সির আনুষ্ঠানিক উন্মোচনের পর বেশ বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমর্থিত দল বিজেপিকে প্রচার-প্রসার বাড়ানোর জন্য কমলা রঙ ব্যবহারের অভিযোগও করেছেন অনেকে। কিন্তু এতসব বিতর্কে কান দিচ্ছেন না কোহলি, 'জার্সিটি বেশ চমৎকার। পড়তে বেশ আরামদায়ক, রঙটাও দারুণ। শুধু বলার জন্য বলছি না, আর এটা শুধু আমার মতামত না। দলের সবাই-ই জার্সিটি পছন্দ করেছে। আর সত্যি বলতে সামান্য জার্সির রঙয়ের সাথে রাজনীতি মেশানো খুবই দুর্ভাগ্যজনক। নিজের প্রচার-প্রসার বাড়ানোর জন্য কোনও রাজনৈতিক দলের অনুরোধে আমাদের ক্রিকেট বোর্ড অবশ্যই জার্সি বদলাবে না।'

    শুধু ভারত নয়, এবারের বিশ্বকাপে 'অ্যাওয়ে' জার্সি ব্যবহার করেছে অনেকেই। নিজেদের তিনটি ম্যাচে নীল ছেড়ে লাল জার্সি পড়েছে আফগানিস্তান। সবুজ জার্সি ছেড়ে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকাও গায়ে জড়িয়েছিল সোনালী জার্সি। জার্সি বদলাতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কাকেও, নীল ছেড়ে হলুদ জার্সি পড়েছিল তারা। এখন পর্যন্ত সব ম্যাচ সবুজ জার্সিতে পড়া বাংলাদেশও তাদের লাল 'অ্যাওয়ে' জার্সি পড়বে ৫ জুলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে। মূলত জার্সির রং মিলে গেলে যেন ক্রিকেটারদের খেলতে অসুবিধা না হয়, সেজন্যই জার্সি বদলের নিয়ম করেছে আইসিসি।