ইংল্যান্ডের 'লাকি চার্ম' হয়েই থাকতে চান প্লাংকেট
এই বিশ্বকাপে লিয়াম প্লাংকেট খেলেছেন চার ম্যাচ, এর একটি ম্যাচেও হারেনি ইংল্যান্ড। অন্যদিকে প্লাংকেট যে চারটি ম্যাচ খেলেননি, তাঁর তিনটিতেই হেরেছে অইন মরগানের দল। এখনো হারের স্বাদ না পাওয়া প্লাংকেটকে তাই ধরা হচ্ছে ইংলিশদের ‘লাকি চার্ম’ হিসেবে। গত ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করে ইংল্যান্ডের সেমিতে খেলার স্বপ্নটা উজ্জ্বল করেছেন তিনিই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে প্লাংকেট বলছেন, দলের সৌভাগ্যের প্রতীক হয়েই থাকতে চান তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে খেলেছিলেন প্লাংকেট, নিয়েছিলেন ২ উইকেট। সেই ম্যাচে ১০৪ রানের বড় জয় দিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করে ইংলিশরা। পরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে একাদশে জায়গা হয়নি প্লাংকেটের, সেই ম্যাচে অপ্রত্যাশিতভাভবে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় ইংল্যান্ড। এরপর বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে খেলেন প্লাংকেট, নিয়েছিলেন দুই উইকেট, দুই ম্যাচেই জেতে ইংল্যান্ড। পরের তিন ম্যাচে আবার বাদ পড়েন প্লাংকেট। সেই তিন ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলংকা-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটিতেই হেরে যায় মরগানরা।
তিন ম্যাচ পর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে আবার একাদশে ফেরেন প্লাংকেট। ৫৫ রানে তিন উইকেট নিয়ে তিনিই ইংল্যান্ডের সেরা বোলার। নিজের শতভাগ জয়ের রেকর্ডটা টুর্নামেন্টের শেষ ভাগেও ধরে রাখতে চান প্লাংকেট, ‘অপরাজিত থাকার ব্যাপারটা দারুণ। তবে এটা নিয়ে খুব বেশি ভাবার কিছু নেই। যদি আমি আবার সুযোগ পাই, তাহলে দলকে জয় এনে দেওয়ারই চেষ্টা করবো।’
একাদশ থেকে বাদ পড়লে হতাশ না হয়ে দলে ফেরার চেষ্টাটাই বেশি করেন প্লাংকেট, ‘দল থেকে বাদ পড়লে হতাশা তো আসবেই, কিন্তু সেটাকে প্রকাশ করা উচিত না। কীভাবে আমি দলে ফিরব এটাই মূল বিষয়। ভালো বোলিং করলেই কেবল সেটা সম্ভব। ৩৪ বছর বয়সেও এসব নিয়ে আমি প্রতিনিয়তই ভাবি।’
এই বিশ্বকাপে বিরাট কোহলি, হাশিম আমলা, ক্রিস গেইলদের আউট করেছেন প্লাংকেট। প্লাংকেট অবশ্য নিজেকে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার মানতে নারাজ, ‘বোলিংয়ে এসেই আর্চার ও উডের মতো ভালো বল করতে পারিনা আমি। মাঝে মাঝে ভালো গতি পাই, মাঝে মাঝে পাই না। তাও আমি নিজের স্কিল দিয়ে উইকেট পেয়েই যাই।’
প্লাংকেট থাকলেই ইংল্যান্ড জেতে। ইংল্যান্ড নিশ্চয়ই পরের ম্যাচগুলোতে একাদশ নির্বাচনের আগে ব্যাপারটা মাথায় রাখবে!