'ছোট' হাতের উডেই উইলিয়ামসনের দুর্ভাগ্য
ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩০৬ রানের টার্গেটটা ছোঁয়ার লক্ষ্যে কেন উইলিয়ামসনের দিকেই তাকিয়ে ছিল নিউজিল্যান্ড। এই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা উইলিয়ামসন ক্রিজে থিতুও হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরই দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে ফিরতে হলো কিউই অধিনায়ককে, ম্যাচটা হয়ত তখনই হেরে গেলো নিউজিল্যান্ড। মার্ক উডের আঙ্গুলে সামান্য ছোঁয়া লেগেই বল লেগেছিল স্টাম্পে, তাতেই পুড়ল উইলিয়ামসনের ভাগ্য। ম্যাচ শেষে উড বলছেন, তাঁর হাত অন্য সবার চেয়ে ‘ছোট’, ভাগ্যের জোরেই উইলিয়ামসনকে রান আউট করতে পেরেছেন তিনি।
গত ম্যাচের আগে এই বিশ্বকাপে উইলিয়ামসনের গড় ছিল ১১৩.৫০। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুতেই দুই উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডকে রান তাড়ার পথে এগিয়ে নিচ্ছিলেন তিনিই। ১৬ তম ওভারের প্রথম বলে উডের বলে ড্রাইভ করেন রস টেইলর। সেই বল সোজা এসে লাগে অপর প্রান্তের স্টাম্পে। রিপ্লেতে দেখা যায়, উডের আঙ্গুলের সামান্য ছোঁয়া লেগেছিল বলে। এতেই ২৭ রানে ফিরতে হয় উইলিয়ামসনকে। সেই ধাক্কাটা আর পুরো ম্যাচেই কাটিয়ে উঠতে পারেননি তাঁরা।
উড বলছেন, ভাগ্যের জোরেই এমন রান আউট করতে পেরেছেন তিনি, ‘আমি একটু ভাগ্যবানই ছিলাম। উইলিয়ামসন রানের জন্য একটু এগিয়ে গিয়েছিল। আমার ভালো বোলিংয়ের কারণে সে আউট হয়নি। আমি তো ইচ্ছা করে তাকে ওভাবে রান আউটও করতে চাইনি। শুধু বলটা আটকাতে চেয়েছিলাম, ভাগ্যের জোরে সেটা আঙ্গুলে লেগে গেছে। এরকম বড় ম্যাচে এমন ভাগ্য সহায় হওয়ায় দারুণ খুশি আমি। তাঁর দুর্ভাগ্য, কারণ আমার হাত খুবই ছোট!’
উইলিয়াসনের উইকেটটাই ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল বলেই মানছেন উড, ‘আমার দেখা অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান সে। তাকে আউট করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এতে তাঁর বিপক্ষে আর বল করতে হয়নি! এটায় বেশ স্বস্তি পেয়েছি।’
এদিকে উইলিয়ামসনও বলছেন, ভাগ্যের কারণেই তাকে এভাবে ফেরাতে পেরেছে ইংলিশরা, ‘এটা ভাগ্যই হবে। ইংল্যান্ডের বোলাররা আমাদের চাপে ফেলেছিল সেটা সত্যি। এসব নিয়ে এখন ভেবে আসলে লাভ নেই।’