নেটে স্টার্ক-কামিন্সের তোপ, বিশ্বকাপ শেষ মার্শের
সেমিফাইনালের আগে শন মার্শকে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে হারিয়ে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। নেট অনুশীলনে প্যাট কামিন্সের বলে হাতে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। তার জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছে পিটার হ্যান্ডসকম্বকে।
অবশ্য এদিন নেটে চোট পাওয়া একমাত্র অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান শন মার্শ নন। মিচেল স্টার্কের বলে ডান হাতের কনুইয়ের নিচের দিকে চোট পেয়ে হাসপাতাল ছুটতে হয়েছিল গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও। দুজন পর্যায়ক্রমে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন একই নেটে।
এর আগে কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার জানিয়েছিলেন, দুজনই স্ক্যানের জন্য গেছেন, তবে মার্শের চোট দেখাচ্ছিল বেশি গুরুতর। পরে তিনিই নিশ্চিত করেছেন মার্শের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ার খবর, “আজ অনুশীলনে ডান হাতে আঘাত পাওয়া শন মার্শের স্ক্যান করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার হাতে চিড় ধরা পড়েছে, যেটিতে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হবে।”
মার্শ মূলত স্কোয়াডে ছিলেন রিজার্ভ ব্যাটসম্যান হিসেবেই। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ম্যাচে খেলেছিলেন তিনি। তবে ল্যাঙ্গার বলছেন, তাকে হারানোটা বেশ বড় আঘাত তাদের জন্য, “অবশ্যই এটা খুবই বাজে একটা ব্যাপার শন ও স্কোয়াডের জন্য। টুর্নামেন্টজুড়েই তার স্পিরিট, পেশাদারিত্ব এবং সে যেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছে তা অসাধারণ ছিল। তার সেরে ওঠা ও পুনর্বাসনে আমরা তার পাশেই আছি।”
তার জায়গায় হ্যান্ডসকম্বকে ভিড়িয়ে একটা চক্রপূরণই হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার। চূড়ান্ত স্কোয়াডে তার বাদ পড়াটা এসেছিল বেশ বিস্ময়কর হয়েই। তাকে বাদ দিয়ে একমাত্র স্পেশালিস্ট উইকেটকিপার হিসেবে অ্যালেক্স ক্যারিকে নেওয়া হয়েছিল। ক্যারি অবশ্য দারুণ গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইনিংস খেলে সে আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন।
হ্যান্ডসকম্ব অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফরেই ছিলেন। তাকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে বিশ্বকাপের আগে ভারত ও আরব আমিরাত সফরে তার পারফরম্যান্স বিবেচনায় এসেছে বলে জানিয়েছেন ল্যাঙ্গার। আর ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে শঙ্কা নেই বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি, “গ্লেন ম্যাক্সওয়েলেরও স্ক্যান করানো হয়েছে নেটে আঘাত পাওয়ার পর। তবে স্ক্যানে গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি। সামনের দিনগুলিতে আমরা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখব। আমরা আশাবাদি, শনিবার সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে।”
বিশ্বকাপে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা অস্ট্রেলিয়ার গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এ ম্যাচ জিতলে তারা শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে যাবে, সেক্ষেত্রে শেষ চারে তাদের প্রতিপক্ষ হবে খুব সম্ভবত নিউজিল্যান্ড। আর দুইয়ে থেকে শেষ করলে তাদের মুখোমুখি হতে হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।