খালি পায়ে হাঁটিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ‘অনুপ্রেরণা’ দিচ্ছেন ল্যাঙ্গার
এজবাস্টনের মাঠকর্মীরা একটু অবাক দেখছিলেন তাদের কান্ড। পুরো অস্ট্রেলিয়া দলকে নিয়ে খালি পায়ে মাঠের চক্কর দিচ্ছেন কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। এরকম অদ্ভুত কাজ কেনোই বা করছেন অ্যারন ফিঞ্চরা? ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালের আগে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান পিটার হ্যান্ডসকম্ব জানালেন, আসলে ল্যাঙ্গারের বিশেষ 'মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতির' অংশ হিসেবেই দলের সবাইকে নিয়ে এভাবে খালি পায়ে হাঁটা।
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল যে মাঠে হবে, সেই এজবাস্টনে ইংল্যান্ড তাদের শেষ দশ ম্যাচের একটিতেও হারেনি। প্রতিপক্ষের রেকর্ড যখন এমন, অস্ট্রেলিয়াকে একটু বেশিই অনুপ্রেরণা খুঁজে নিতে হবে। ল্যাঙ্গার তাই বেছে নিলেন তার প্রিয় পদ্ধতিকেই। মাঠের সাথে যেন স্মিথ-ওয়ার্নারদের ‘সম্পর্কটা’ আরও জোরালো হয়, এজন্যই মাঠের ঘাসে পা লাগিয়েই আধ ঘণ্টার মতো হাঁটাহাঁটি করলেন তারা। এরপর গোল হয়ে বসে সবাইকে অনুপ্রেরণার বাণীও শোনালেন ল্যাঙ্গার।
মানুষ হিসেবে ল্যাঙ্গারের অনুপ্রেরণা পাওয়ার পদ্ধতিটা বরাবরই সবার চেয়ে আলাদা। অনুপ্রেরণার বই লিখেছেন নিজেই। অস্ট্রেলিয়াতে প্রতি সকালে ২০ মিনিট যোগব্যায়াম করেন, সূর্যোদয় দেখেন, খালি পায়ে কিছুটা সময় হেঁটে বেড়ান। ল্যাঙ্গার পারদর্শী মার্শাল আর্টেও! প্রতি বছরের একটি মাসে তিনি দাড়ি কাটেন না।অস্ট্রেলিয়ার কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজের এমন অনুপ্রেরণার সঙ্গী করেছেন দলের ক্রিকেটারদেরও। দুবাই, হায়দরাবাদ, সাউদাম্পটনে ক্রিকেটারদের খালি পায়ে হাঁটিয়েছেন মাঠের সাথে ‘আত্মার সম্পর্ক’ গড়ে তোলার জন্য।
ল্যাঙ্গারের এমন পদ্ধতি বেশ উপভোগই করেছেন কিছুদিন আগেই দলের সাথে যোগ দেওয়া হ্যান্ডসকম্ব, ‘ঘাসে পা লাগিয়ে মাঠকে অনুভব করছিলাম। ল্যাঙ্গার আগেও এমনটা করেছেন। ব্যাপারটা দারুণ, আপনি মাঠকে অনুভব করতে পারবেন। ইতিবাচক ও নেতিবাচক শক্তিটা এই মাটি থেকেই তো আসে। দলের সবাই খুব ভালো মুডে ছিল পুরো সময়টায়।’
ল্যাঙ্গারের কথায় পুরো অস্ট্রেলিয়া দলই উজ্জীবিত, বলছেন হ্যান্ডসকম্ব, ‘সবাই নিজের ছোটবেলার ক্রিকেট খেলার স্মৃতিগুলো বলছিল। এই দলের অনেকেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল, ফাইনাল খেলেছে।সেই অভিজ্ঞতাটাও অন্যদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমরা সবাই আসলে নিজেদের স্বপ্নটাকে বাস্তবায়ন করছি।’
এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ল্যাঙ্গারের এই অনুপ্রেরণা কাজে দেয় কিনা, সেটা জানা যাবে আগামীকালই।