• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    লো স্কোরিং পিচের দায়ভার নেবে না আইসিসি

    লো স্কোরিং পিচের দায়ভার নেবে না আইসিসি    

    ইংল্যান্ডের মাটিতে গত কয়েক বছরে ওয়ানডেতে রান উঠেছে অনেক। বিশ্বকাপেও তেমন কিছু হবে, এমনটাই ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন বিশ্লেষকরা। অনেকে তো ৪০০ রানের স্বপ্নও দেখাচ্ছিলেন! টুর্নামেন্টজুড়ে খুব কম ম্যাচেই বড় স্কোর দেখা গেছে। গতকালের সেমিফাইনালেও নিউজিল্যান্ডকে রান তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। ব্যাটিং সহায়ক পিচ না হওয়ায় সমালোচনাও শুনতে হয়েছে আইসিসিকে। এমন সব অভিযোগের পর আইসিসি জানিয়েছে, লো স্কোরিং ম্যাচের জন্য তাদের দোষ দিয়ে কোন লাভ নেই। 

    বিশ্বকাপের মাঝপথে ইংল্যান্ড ওপেনার জনি বেইরস্টো বলেছিলেন, এমন ইংলিশ পিচ তার অচেনা, ‘আমরা গত দুই বছর ধরে যেমন পিচে খেলছি, সেটার সাথে এবারে বিশ্বকাপের পিচের কোন মিল নেই। জানি না তারা পিচের এরকম পরিবর্তন কেন করলেন।’ গতকাল ওল্ড ট্রাফোর্ডে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৬.১ ওভারে নিউজিল্যান্ড তুলেছিল ২১১ রান। সেমির ম্যাচে এমন স্কোরের পর সাবেক ইংলিশ ইংলিশ ব্যাটসম্যান মার্ক বুচার টুইটে বলেছেন, বিশ্বকাপের পিচ একদম 'আবর্জনা'! সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান মার্ক ওয়াহও বলেছেন একইরকম কথা। 

    এবারের বিশ্বকাপের শেষভাগে পিচের ধীরগতির কারণে টসটাই হয়ে উঠেছে মহামূল্যবান। প্রথম ২১ ম্যাচের ১১টিতে জিতেছে প্রথমে ব্যাট করা দল, ১০টিতে জিতেছে পরে ব্যাটিং করা দল। তবে এর পরের ২০ ম্যাচে মাত্র চারবার পরে ব্যাটিং করা দল জিততে পেরেছে।

    আইসিসি অবশ্য বলছে, কম রান ওঠার জন্য তারা দায়ী না, ‘প্রত্যেক ভেন্যুকে পিচ তৈরির ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হলেও তারা নিজেরাই এটা তৈরি করেছে। বিশ্বকাপের মোট টুর্নামেন্টের জন্য সেরা পিচটা তৈরি করার নির্দেশনাই দিয়েছিলেন পর্যবেক্ষকরা। ইংলিশ কন্ডিশনের জন্য আমরা সুসম বাউন্স ও গতি চেয়েছিলাম। কোন দেশের জন্য বাড়তি সুবিধা হয়, এরকম পিচ আইসিসি তৈরি করার নির্দেশ দেয় না মাঠের কর্মকর্তাদের।’