বিশ্বকাপ দলে নিতে দাবি করিনি : ডি ভিলিয়ার্স
বিশ্বকাপ দলে জোর করে ঢুকতে বা তাকে নেওয়ার জন্য কোনও রকমের দাবি করেননি বলে জানিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। অবসর ভেঙে বিশ্বকাপের সময় তিনি দলে ফিরতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ম্যানেজমেন্ট তাতে সায় দেয়নি, এমন সংবাদের জবাবে এক বিবৃতিতে এসব বলেছেন তিনি। অবসরের পরই দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে ‘বিশ্বকাপের সময় তার দরজা খোলা আছে কিনা’ এমন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, বিশ্বকাপের আগে ‘শুধু সে প্রশ্নের জবাবেরই পুনরাবৃত্তি’ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক।
বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতের বিপক্ষের হারের পরই সংবাদমাধ্যমে এসেছিল, ডি ভিলিয়ার্স অবসর ভেঙে ফিরতে চেয়েছিলেন বিশ্বকাপে। তবে সেসবকে ‘ব্যক্তিগত কথাবার্তা ফাঁস ও বিকৃতি’ বলে তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের সময় দলের মনযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে চাননি বলে মুখ খোলেননি তিনি। এখন তার বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায্য সমালোচনার জবাব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছেন।
“যেহেতু বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে, দলের মনযোগের ব্যাঘাত ঘটারও সুযোগ নেই, তাই এসব সমালোচনার ব্যাপারে কথা বলতে চাই”, নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইলে জানিয়েছেন তিনি। “প্রথমত আমি অবসর নিয়েছিলাম আমার কাজের পরিমাণ কমিয়ে আমার স্ত্রী ও পুত্রদের সময় দিতে, টাকার জন্য নয়। ঘরের বাইরে থাকার সময় আট মাস থেকে তিন মাসে নামিয়ে এনেছি আমি।
“অবসরের পর দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বা প্রোটিয়াদের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে কোনও আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করা হয়নি। আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রোটিয়ারা এগিয়ে গেছে। হেড কোচ ওটিস গিবসনের অধীনে ও ফাফ ডু প্লেসির দারুণ অধিনায়কত্বে সাফল্য উপভোগ করেছে।
“ফাফ ও আমি স্কুল থেকেই বন্ধু। বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার দুই দিন আগে আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমি তখন আইপিএলে খেলছিলাম, দারুণ ফর্মে ছিলাম। আমি তাকে এমনিই বলেছিলাম, এক বছর আগে আমাকে যে বলা হয়েছিল প্রয়োজন হলে আমার দরজা খোলা কিনা… (সেক্ষেত্রে) আমাকে পাওয়া যাবে। তবে যদি এবং কেবল যদি আমার প্রয়োজন পড়ে।
“আমি কোনোভাবেই কোনোরকম দাবি করিনি। অবশ্যই টুর্নামেন্টের আগে দলে ঢুকতে জোর করিনি। দলে ডাক পাওয়ার প্রত্যাশাও করিনি। আমার পক্ষ থেকে জোরালো কোনও ব্যাপার ছিল না, অন্যায্য কিছুও ছিল না।
তাদের কথাবার্তা কীভাবে প্রকাশ হয়েছে, সেটাও তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন ডি ভিলিয়ার্স, “এই গল্প অবশ্যই আমার বা আমার সঙ্গে থাকা কারও পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়নি। ফাফও করেনি। হয়তো কেউ সমালোচনা চাইছিল। আমি জানি না।”
“এর ফলে যা হলো, আমাকে অন্যায্যভাবে অহংকারী, স্বার্থপর, দ্বিধাগ্রস্ত বলা হলো। তবে সবরকমভাবেই আমার অবস্থান পরিষ্কার। আমি সততার সঙ্গেই অবসর নিয়েছি, এবং আমাকে যখন বলা হয়েছে বিশ্বকাপের জন্য আমার দরজা খোলা থাকবে কিনা, আমি রাজি হয়েছি। স্বাভাবিকভাবেই (আমাকে ছাড়াই) টুর্নামেন্টে দল এগিয়ে গেছে। আমার কোনও সমস্যা নেই। আমার কারও ওপর কোনও রাগ নেই।
“আমি আমার দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলে এবং নেতৃত্ব দিয়ে অনেক বেশি গর্বিত। প্রোটিয়াদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আগের মতোই দৃঢ় থাকবে। যে খেলা ও দল আমাকে দারুণ বন্ধুত্ব ও অনেক সুযোগ দিয়েছে, আমার জীবন গড়েছে, তাদের প্রতি আমার সমর্থন জানাতে চাই এই অস্বস্তিকর ও অপ্রয়োজনীয় পরিস্থিতিতেও।”