'বিশ্বাসই হচ্ছে না বিশ্বকাপ জিতেছি'
বেন স্টোকসের ব্যাটে বল লেগে ওভারথ্রোতে চার হওয়া, তার ক্যাচ ধরেও ট্রেন্ট বোল্টের বাউন্ডারি লাইনে পা লাগিয়ে দেওয়া কিংবা চারের সংখ্যা বেশি হওয়ায় সুপার ওভার টাই হয়েও নিউজিল্যান্ডের হারা; ভাগ্যটা কাল ইংলিশদের পক্ষেই ছিল। প্রথম ইংলিশ অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার পর সংবাদ সম্মেলনে অইন মরগান বলছেন, অবিশ্বাস্য এক ফাইনালের পর এমন জয় তার বিশ্বাসই হচ্ছে না। এই জয়ের রেশটা অনেকদিন থাকবে, এমনটাই চান মরগান।
বিশ্বকাপের শুরু থেকে ফেভারিট ধরা হচ্ছিল ইংল্যান্ডকেই। শেষ পর্যন্ত ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতে গেছেন, এটা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না মরগান, ‘এক কথায় অবিশ্বাস্য অনুভূতি। আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না যে বিশ্বকাপ জিতে গেছে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচের ধারাভাষ্য কীভাবে দিয়েছেন সবাই, সেটাও কল্পনা করতে পারছি না। পুরো ম্যাচের মতো সুপার ওভারেও স্টোকস দুর্দান্ত খেলেছে। দেশের সবাই যেভাবে আমাদের পাশে ছিল, সেটা এক কথায় অবিশ্বাস্য। আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আশা করি এই জয়ের রেশটা অনেকদিন থাকবে।’
ফাইনালের ম্যাচসেরা স্টোকসে মুগ্ধ মরগান, ‘স্টোকস তো প্রায় সুপারম্যান হয়ে গিয়েছিল আজ। পুরো দলের ব্যাটিংকেই সে নিজের কাঁধে নিয়েছে। ম্যাচের সে পরিস্থিতি, চাপ, আবেগ ছিল, সবকিছুর সাথে মানিয়ে নিয়েই অবিশ্বাস্য পারফর্ম করেছে সে। সবাই এখন স্টোকস হতে চাইবে। কলকাতার সেই ম্যাচের পর অনেকেই ভেবেছিলেন স্টোকসের ক্যারিয়ার শেষ। এরপরও সে বহুবার একাই দলকে জিতিয়েছে। আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ।’
মরগানের বয়স এখন ৩২। ২০২৩ বিশ্বকাপে কি ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন? চার বছর পরের অবস্থা নিয়ে এখনই ভাবতে চান না তিনি, ‘এখন আমরা উদযাপন করতে চাই। এরপর পরেরটা পরে দেখা যাবে। চার বছর দীর্ঘ একটা সময়। তখন আমি দলে থাকব কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন। থাকলেও কি আমি নিজের সেরাটা দিতে পারবো? অন্যরা তো দিনদিন উন্নতি করেই চলেছে। তাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবো তো? এসবের উত্তর সময় এলেই পাওয়া যাবে।’