স্টোকসের বাবা-মা চেয়েছিলেন শিরোপা ভাগাভাগি হোক
বিশ্বকাপের ফাইনালে কাকে সমর্থন জানাবেন, ক্রাইস্টচার্চে বসে খেলা দেখার সময় এ নিয়ে বোধহয় একটু দ্বিধার মাঝেই ছিলেন জেরার্ড ও ডেব স্টোকস। একদিকে নিজের দেশ নিউজিল্যান্ড, অন্যদিকে ছেলের দল ইংল্যান্ড। তাদের জন্য কাজটা আরো কঠিন করে তুললেন বেন স্টোকস, তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই ফাইনাল গেলো সুপার ওভারে। সুপার ওভারের রোমাঞ্চে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ উঠেছে ইংল্যান্ডের হাতেই। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জেতার পর স্টোকসের বাবা বলছেন, দুই দল ট্রফিটা ভাগাভাগি করে নিলে মন্দ হতো না।
সুপার ওভারেও যখন দুই দলকে আলাদা করা গেলো না, তখন হিসেবে এলো নির্ধারিত ৫০ ওভারে কারা বেশি বাউন্ডারি মেরেছে। এতে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড, শিরোপা উঠেছে তাই অইন মরগানের হাতেই। স্টোকসের বাবা অবশ্য এমন রোমাঞ্চের পর কোন দলের হারই মানতে পারছিলেন না, ‘আমার মনে হয় না বিশ্বকাপের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা বেশি বাউন্ডারি মারার ওপর নির্ভর করা উচিত। দুই দল তো ট্রফিটা ভাগাভাগি করতে পারতো! তবে এই যুগে তো এমন কিছু হয় না। এই ফাইনালটা ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যাচ। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে এমন ম্যাচেও একটা দলকে হারতে হয়েছে।’
জেরার্ড খেলেছেন নিউজিল্যান্ড জাতীয় রাগবি দলে। কোচিং করাতে ইংল্যান্ডে এসেছিলেন পরিবারসহ। সেই সুবাদেই কিশোর স্টোকসের ইংল্যান্ডে আসা। সেই স্টোকসই কেড়ে নিলেন নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। স্টোকসের ম্যাচসেরা হওয়ার পর জেরার্ড খানিকটা মজা করেই বলছেন, দেশের সবচেয়ে ঘৃণিত বাবা হয়ে যেতে পারেন তিনি, ‘অনেকেই ম্যাচের পর আমাকে বলেছেন, আমি তো নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে ঘৃণিত বাবা হয়ে যেতে পারি! তবে আশেপাশের সবাই আমাকের পাশে থেকেছে। নিজের ছেলেকে এমন পারফরম্যান্স করতে দেখা অসাধারণ এক অনুভূতি।’
স্টোকসের মা ডেবও চেয়েছিলেন শিরোপা যেন ভাগাভাগি হয়, ‘আমি তো ম্যাচশেষে কেঁদেই ফেলেছিলাম! নিউজিল্যান্ডের জন্য খুব খারাপ লেগেছে। ম্যাচটা ড্র হয়ে শিরোপা ভাগাভাগি হলেই ভালো হতো।’