স্টার্ককে বাদ দিয়েই এজবাস্টনে খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া?
ইনজুরি নেই, নেই অন্য কোনো সমস্যাও। সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে মিচেল স্টার্ক সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। অ্যাশেজের মতো সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেই স্টার্ককে ছাড়াই মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া, ব্যাপারটা হজম করতে একটু কষ্টই হতে পারে। কিন্তু এজবাস্টনে আজ হতে পারে এমনটাই। প্রথম টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক টিম পেইন আভাস দিয়েছেন, একাদশের বাইরে থাকতে পারেন স্টার্ক।
সুস্থ থাকার পরেও প্রথম টেস্টে নাও খেলতে পারেন সিনিয়র পেসারদের কয়েকজনকে, জানিয়েছেন পেইন, ‘আমরা বোলারদের সাথে এই ব্যাপারে আলোচনা করেছি। কোচও জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতি ম্যাচেই কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে একাদশ নির্বাচন করা হবে।যদিও আমাদের বোলাররা সব কন্ডিশনেই ভালো করতে পারে, এটাই আমাদের দলের শক্তি। তাও দুই-তিন বছর ধরে স্টার্ক, কামিন্স ও হ্যাজলউডের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে উঠেছি আমরা। টানা টেস্ট খেলে তারা ইনজুরিতেও পড়েছে। অন্যদিকে সিডল, প্যাটিনসনরাও আছে। এজন্যই আমরা কাউকে কাউকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা ভাবছি।’
ইএসপিএন ক্রিকইনফোসহ অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম বলছে, এজবাস্টনে কামিন্স ও প্যাটিনসনের খেলা নিশ্চিত, সিডলের একাদশে থাকার সম্ভাবনা বেশি। হ্যাজলউড ও স্টার্ক দুজনই বাদ পড়তে পারেন। ইংলিশ কন্ডিশনে ‘সেরা কম্বিনেশন’ সাজাতেই বাদ দেওয়া হতে পারে সিনিয়র পেসারদের কয়েকজনকে, বলছেন পেইন, ‘আমরা এই মুহূর্তে সেরা কম্বিনেশন নিয়ে ভাবছি। সেভাবেই বোলার নির্বাচন করা হবে। যদি কন্ডিশন স্টার্ক ও হ্যাজলউডের খেলার উপযুক্ত হয় তাহলে তারা দুজনেই খেলতে পারেন। এটা বাকি সবার জন্যই প্রযোজ্য।’
এজবাস্টনের ঘাসহীন পিচ দেখে একটু অবাক পেইন, ‘পিচ একটু অন্যরকম লাগছে। আমি আরও বেশি ঘাস আশা করেছিলাম। তবে এখন এজবাস্টনের যে আবহাওয়া, সেখানে ডিউক বল সুইং করবে। বলের গতিও একটু বেশি হবে, এটা আমাদের জন্য ভালো। শুরুতে সব ব্যাটসম্যানই চাপে থাকবে। সেটাকে সামলেই খেলতে হবে ব্যাটসম্যানদের।’