• অ্যাশেজ ২০১৯
  • " />

     

    বার্নস-বেইরস্টোর ফিফটির পরেও দ্বিতীয় দিনে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া

    বার্নস-বেইরস্টোর ফিফটির পরেও দ্বিতীয় দিনে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া    

    দ্বিতীয় দিন শেষে

    ইংল্যান্ড ৭৭.১ ওভারে ২৫৮ অলআউট

    অস্ট্রেলিয়া ১৩ ওভারে ৩০/১


    প্রথম দিনটা ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল বৃষ্টি। দ্বিতীয় দিনে অবশেষে প্রকৃতি সদয় হলো, খেলায় আজ কোনো বাগড়া পড়ল না। ব্যাটে-বলে দারুণ আরেকটি লড়াইও দেখা গেল। দিন শেষে ইংল্যান্ডের চেয়ে একটু হলেও বেশি খুশিমনে থাকার কথা অস্ট্রেলিয়ার।

    এজবাস্টনের মতো লর্ডসেও ব্যাটসম্যানরা প্রথম ইনিংসে রান করতে খাবি খেয়েছেন। টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেইন। জেমস প্যাটিনসনের জায়গায় সুযোগ পেয়ে ব্রেকথ্রুর জন্য মাত্র দ্বিতীয় ওভার পর্যন্ত সময় নিয়েছেন জশ হ্যাজলউড। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিতে বাধ্য করেছেন জেসন রয়কে, সুযোগটা এবারও কাজে লাগাতে পারলেন না ইংলিশ ওপেনার। অধিনায়ক জো রুটের ওপর নির্ভর করছিল অনেক কিছু, কিন্তু আজ বড় কিছু করতে পারলেন না। এবারও হন্তা হ্যাজলউড, ভেতরের দিকে ঢোকা বলে এলবিডব্লু হয়ে ১৪ রানেই ফিরলেন রুট। ১৫ ওভারে গিয়ে বার্নস ক্যাচ দিয়েছিলেন, ধরতে পারেননি খাওয়াজা। লাঞ্চ পর্যন্ত আর কোনো বিপদ হতে দেননি বার্নস আর জো ডেনলি, ৭৬ রানে ২উইকেট নিয়ে সেশন শেষ করেছে ইংল্যান্ড।

    লাঞ্চের পরেই ফিরে গেছেন ডেনলি, ৩০ রান করেই। এবারও হ্যাজলউড ঘাতক, তার বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য হয়েছেন ডেনলি। এরপর আরও একবার সুযোগ দিয়েছিলেন বার্নস, এবারও দুর্ভাগা বোলারের নাম সিডল। অধিনায়ক পেইনই হাতে জমাতে পারেননি ক্যাচ। বার্নস ফিফটিও পেয়েছেন, তবে এই ক্যাচ মিসের জন্য বেশি মাশুল দিতে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। সেটার জন্য যতটা না কামিন্সের, তার চেয়েও অনেক বেশি কৃতিত্ব ব্যানক্রটের। শর্ট লেগে প্রায় অবিশ্বাস্য একটা ক্যাচ নিয়েছেন বার্নসের, এজবাস্টনের মতো লর্ডসেও দেখিয়েছেন এই পজিশনে তিনি বিশ্বসেরাদের একজন। ৫৩ রানে  ফিরেছেন বার্নস।

    জস বাটলার শুরু থেকেই দ্বিধায় ভুগছিলেন। শেষ পর্যন্ত খেলবেন না ছাড়বেন এই করতে করতে আউট সিডলের বলে, খোঁচা দিয়ে ২৩ বলে ১২ রান করে। বেন স্টোকসকে তুলে নিলেন লায়ন, আনলাকি থার্টিনে কাটা পড়লেন স্টোকস। রিভিউ নিয়েও লাভ হলো না। ইংল্যান্ড ১৩৮ রানে হারাল ৬ উইকেট।

    ক্রিস ওকস পয়া লর্ডসে আজও বড় কিছুর মিশন নিয়ে নেমেছিলেন যেন। ওপাশ থেকে পেয়েছিলেন ফর্ম হারিয়ে খোঁজা জনি বেইরস্টোকে। ৬ উইকেট যাওয়ার পর দুজন মিলে শুরু করেছেন ইনিংস মেরামত। সপ্তম উইকেটে দুজন যোগ করেছেন ৭২ রান। শেষ পর্যন্ত ওকসকে আউট করে জুটিটা ভেঙেছেন কামিন্স, ইংলিশ অলরাউন্ডার আউট হয়েছেন ৩২ রানে। জফরা আর্চার নেমে ১২ রান করেছেন, তবে শর্ট বলে আউট হয়ে জানান দিয়েছেন অলরাউন্ডার হওয়ার জন্য এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে তাকে। স্টুয়ার্ট ব্রড আগের টেস্টের মতো কিছু করতে পারনেনি, আউট ১১ রানে। তবে দুজনের সঙ্গেই ২০ ও ২১ রানের ছোট কিন্তু মূল্যবান দুইটি জুড়ি গড়েছেন বেইরস্টো। ফিফটিও পেয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত নিঃসঙ্গ শেরপা হয়ে আক্রমণ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন ৫২ রানে।

    ইংল্যান্ডের ২৫৮ রানের পর অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারের লক্ষ্য ছিল দিনটা কাটিয়ে দেওয়া। আর্চার শুরু থেকেই ভোগাচ্ছিলেন ওয়ার্নার আর ব্যানক্রফটকে, কিন্তু উইকেট পেলেন ব্রড। ভেতরের দিকে ঢোকা বলটা লাইন মিস করে বোল্ড ওয়ার্নার, ফিরলেন ৩ রানে। এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি ব্যানক্রফট-খাওয়াজা, বাকি দিনটা পার করে দিয়েছেন।