• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    "রেকর্ডই আমাকে খুঁজে নেয়"

    "রেকর্ডই আমাকে খুঁজে নেয়"    

    ফুটবলে একম্যাচে কেউ তিন গোল করলে বলা হয় ‘হ্যাট্রিক’। তাহলে চার গোলকে কি বলা হবে? ফুটবলের অভিধান অনুযায়ী এই অর্জনটির নাম ‘পোকার’। বেনজেমার ‘হ্যাট্রিক’ আর রোনালদোর ‘পোকার'-এ গতকাল রাতে মালমোর বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ জয় পেয়েছে ৮-০ ব্যবধানে! এর আগেও বেশ কয়েকবার ম্যাচে চার গোল করে থাকলেও এবারের ‘পোকার’ টি রোনালদোর জন্য আলাদাই বটে। কারণ চ্যাম্পিয়নস লিগে লস ব্লাঙ্কোদের হয়ে চার গোলের কীর্তি এখন শুধু ক্রিশ্চিয়ানোরই। একের পর এক রেকর্ড গড়ে যাওয়া এই পর্তুগিজ তাই গর্ব করেই বললেন, “আমি রেকর্ডকে খুঁজিনা। রেকর্ডই আমাকে খুঁজে নেয়।”

     

    ২০১৫/১৬ মৌসুমের শুরু থেকেই বহু চড়াই-উৎরাই পার করছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ক’দিন আগেই বার্সার কাছে ঘরের মাঠে ‘এল ক্লাসিকো’ হারার পর নিজ সমর্থকদের দুয়ো শুনতে হয়েছে তাঁকে। মাঝে কিছুদিন ফর্মহীনতায় নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন এই রিয়াল তারকা। তবে গতরাতের চার গোল করে আবার ফর্মে ফেরার ইঙ্গিতই দিলেন সিআর সেভেন, “আমি খুব খুশি। পুরো দল খুব ভালো খেলেছে। শুধু স্ট্রাইকাররা নয়, সব খেলোয়াড়েরাও। আমরা জানতাম যে এই ম্যাচে আমরা ভালো করতে পারবো এবং আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা ওদের চাপে রেখে গোল আদায় করে নিতে পারবো। আর ব্যক্তিগত দিক থেকে আমি আরেকটি রেকর্ড গড়ায় খুব খুশি।”

     

    চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ’পোকার’ এর কীর্তি শুধু রোনালদোর থাকলেও এই টুর্নামেন্টে তিনের বেশি গোলদাতার সংখ্যা ১২ জন। এদের মধ্যে লিও মেসিরই সর্বাধিক দুই বার তিনের বেশি গোল করার রেকর্ড রয়েছে। তাছাড়া এক ম্যাচে ৫ গোলের রেকর্ড রয়েছে আর্জেন্টাইন মেসি এবং ব্রাজিলিয়ান লুইজ আদ্রিয়ানোর। ইউরোপ সেরাদের এই লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি হ্যাট্রিকের রেকর্ডটাও লিওনেল মেসির, এখন পর্যন্ত ৫ বার! অন্যদিকে দুই নম্বরে থাকা রোনালদোর হ্যাট্রিক সংখ্যা চার। চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা দুই ম্যাচে হ্যাট্রিকের কীর্তি রয়েছে ব্রাজিলের লুইজ আদ্রিয়ানোর। 

     

    গত দুই মৌসুমের ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এবারও সেরা তিনের তালিকায় রয়েছেন তিনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এবারের ব্যালন ডি’অর উঠতে যাচ্ছে লিও মেসির হাতেই। তবে ফুটবলে সেরা পুরষ্কার না পাওয়া নিয়ে চিন্তা করছেন না এই পর্তুগিজ; বরং নিজের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি তিনি, “আমি ব্যালন ডি’অর নিয়ে চিন্তা করছি না। মৌসুমের শুরুতে সমস্যায় ভুগলেও আমি আমার বর্তমান খেলা নিয়ে সন্তুষ্ট। এখন আমি আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং আমার দল আমাকে অনেক সাহায্য করে যাচ্ছে।”