ইউনাইটেডেই মুখ রক্ষা ইংল্যান্ডের ?
শেষ পর্যন্ত হতাশাটা শুধু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একারই, চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে ইংল্যান্ডের একমাত্র দল হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই বাদ পড়েছে। চেলসি, আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি এখন চলে গেছে নকআউট পর্বে। কিন্তু ২০১৭ থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে ইংল্যান্ডের চারটি দলই কি খেলতে পারবে? নাকি উয়েফার সূচকে ইতালি টপকে যাবে ইংল্যান্ডকে? তখন মাত্র তিনটি ইংলিশ দল খেলতে পারবে। অদ্ভুত হলেও, ইংল্যান্ডকে এবার বাঁচিয়ে দিতে পারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই!
সাধারণ্যে ধারণা, চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে যাওয়ায় উয়েফার সূচকে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট কমে যাবে। কিন্তু উয়েফার নিয়মে চ্যাম্পিয়নস লিগের সাথে ইউরোপার সূচকের ব্যবধান খুবই কম। তাই ইউনাইটেড ইউরোপা লিগে বেশ কিছুদূর গেলে ইংল্যান্ড এবারের মতো পার পেয়ে যেতে পারে। অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লিগে বাকি তিনটি দল অন্তত সেমিফাইনাল পর্যন্ত গেলেও ইংল্যান্ডের মুখ রক্ষা হতে পারে।
গত মৌসুমের পরিস্থিতিটা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাক। গতবার ইতালি থেকে জুভেন্টাস চলে গিয়েছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। আর ইংল্যান্ডের কোনো দলই দ্বিতীয় রাউন্ডের বাধা টপকাতে পারেনি। তখন ইতালি ইংল্যান্ডের চেয়ে চার পয়েন্ট এগিয়ে গেছে।
এই মুহূর্তে অবস্থাটা এমনঃ
দেশ ২০১১/১২ ১২/১৩ ১৩/১৪ ১৪/১৫ ১৫/১৬ মোট
স্পেন ২০.৮৫ ১৭.৭১ ২৩.০০ ২০.২১ ১০.০৭ ৯১.৮৫
জার্মানি ১৫.২৫ ১৭.৯৩ ১৪.৭১ ১৫.৮৬ ৮.৮৬ ৭২.৬১
ইংল্যান্ড ১৫.২৫ ১৬.৪৩ ১৬.৭৯ ১৩.৫৭ ৭.৬২ ৬৯.৬৬
ইতালি ১১.৩৬ ১৪.৪২ ১৪.১৭ ১৯.০০ ৭.৬৭ ৬৬.৬১
হিসেবে তাই দেখা যাচ্ছে, ইংল্যান্ড ও ইতালির মধ্যে ব্যবধান খুবই কম। যদি ধরে নেওয়া হয়, জুভেন্টাস ইংল্যান্ডের বাকি দলগুলোর চেয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে একধাপ বেশি যাবে তাহলে ইতালি ইংল্যান্ডকে টপকে যেতে পারে। এখানেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ইংল্যান্ডের মুখ রক্ষা করতে পারে।
সেটা কীভাবে? যদি ইউনাইটেড গ্রুপ পর্ব থেকে উঠে দ্বিতীয় রাউন্ডেই বাদ পড়ে যেত তাহলে তারা সূচকে ১৯ পয়েন্ট যোগ করতে পারত। এখন ইউরোপা লিগে তারা যদি অন্তত সেমিফাইনাল পর্যন্ত যায় তাহলে ২৬ পয়েন্ট যোগ করতে পারবে। আর ফাইনাল পর্যন্ত গেলে সেটা হবে ৩৩ পয়েন্ট। তার মানে, আগের চেয়েও তারা বেশি পয়েন্ট যোগ করার সুযোগ পাচ্ছে। আর সেটাই হয়তো ইংল্যান্ডকে একটু এগিয়ে রাখতে পারে।
যেমন, উয়েফার সূচকে স্পেনের সাফল্যের বড় কারণ ইউরোপা লিগেও তাঁদের দারুণ পারফরম্যান্স। গত চার বছরে তিনবারই স্পেনের দলগুলো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ইতালিও যেমন গত মৌসুমে নাপোলি ও ফিওরেন্টিনাকে ইউরোপার সেমিফাইনালে পেয়েছে। সেখানে ইংল্যান্ডের রেকর্ড একেবারেই বিবর্ণ। ২০১০ সালের পর একমাত্র চেলসিই শেষ চারে যেতে পেরেছে।
অবস্থাটা তাই এমন, চেলসি, আর্সেনাল, সিটি চ্যাম্পিয়নস লিগে যদি বেশিদূর না যেতে পারে, তাহলে ইউনাইটেডের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হতে পারে ইংল্যান্ডকে!