• অ্যাশেজ ২০১৯
  • " />

     

    'বিশ্বকাপ ফাইনালের সাথে এটাও আমার ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত'

    'বিশ্বকাপ ফাইনালের সাথে এটাও আমার ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত'    

    অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয়, অতিমানবীয়; গতকাল বেন স্টোকসের ১৩৫ রানের ইনিংসটির পাশে যে বিশেষণই লাগান না কেনো, সেটা নিশ্চিতভাবেই কম পড়বে। প্রায় নিশ্চিত হারের মুখ থেকে  একাই ইংল্যান্ডকে দুর্দান্ত এক জয় এনে দিয়েছেন স্টোকস। হেডিংলিতে টেস্টে এক উইকেটের সেই জয়ের পর স্কাই স্পোর্টসকে স্টোকস বলছেন, বিশ্বকাপের ফাইনালের সাথে তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তে যোগ হয়েছে এই ইনিংসটাও। 

    অ্যাশেজ বাঁচাতে ইংল্যান্ডের দরকার আরও ৭৩ রান, হাতে মাত্র এক উইকেট। স্টোকসের ওপর তখন যেন ভর করল অন্য কিছু। যে হ্যাজলউড, লায়ন, কামিন্সদের কাছে প্রথম ইনিংসে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ইংল্যান্ড, তাদেরকেই তুলোধুনো করলেন স্টোকস। শেষ উইকেটে জ্যাক লিচকে নিয়ে মাত্র ১০ ওভারের মাঝেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। এই জুটিতে লিচের রান মাত্র এক! 

    স্টোকস জানিয়েছেন, এই ইনিংস কখনোই ভুলবেন না তিনি, ‘এই ইনিংসটা বিশ্বকাপ ফাইনালের পাশে থাকার মতো। এটা অবিশ্বাস্য, আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এটা মনে রাখব। আমার মনে হয় না এরকম কিছু আবার হবে। শেষ হওয়ার আগে কিছু শেষ হয় না, এই বিশ্বাস রেখেই ব্যাটিং করছিলাম। যখন লিচ ক্রিজে নামে তখন ম্যাচ অনেকটাই শেষ। আমি তাকে বলেছিলাম, আমি পাঁচ বল খেলব সে এক বল খেলবে। শেষ পর্যন্ত কী হয় এটা দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। যখন টার্গেটটা কমতে শুরু করল, তখন বিশ্বাসটা আরও বাড়ছিল।’

    সিরিজ বাঁচানো এমন ইনিংস খেলে যারপরনাই খুশি স্টোকস, ‘আমি পায়ে একটু টান অনুভব করছিলাম ইনিংসের শেষভাগে। কিন্তু ম্যাচের ওই পরিস্থিতিতে অন্যকিছু ভাবার অবস্থা ছিল না। অ্যাশেজ জেতার আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয় ছাড়া আর উপায় ছিল না। আমরা এই জয় থেকে অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়েই পরের টেস্টে যাবো। আশা করি ওল্ড ট্রাফোর্ডেও সবার আত্মবিশ্বাস তুঙ্গেই থাকবে।’ 

    স্টোকসের অতিমানবীয় ইনিংসে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন লিচ। তাঁর প্রশংসা করতেও ভোলেননি স্টোকস, ‘সে দারুণ নাইটওয়াচম্যান, সে ৯২ রানের ইনিংসও খেলেছে। ম্যাচের এমন পরিস্থিতিতে ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করাটা সহজ কাজ না, তাকে অভিনন্দন। ম্যাচ শেষে সে তো আমার চিবুকে চুমুই খেয়ে বসল! এটা আমার জীবনের সেরা চুমু!’