• আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট
  • " />

     

    বাংলাদেশ নিয়ে ডমিঙ্গোর আগ্রহ মনে ধরেছে সাকিবের

    বাংলাদেশ নিয়ে ডমিঙ্গোর আগ্রহ মনে ধরেছে সাকিবের    

     

    রাসেল ডমিঙ্গো বাংলাদেশে এসেছেন সপ্তাহখানেক হয়ে গেল। তবে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে পরিচয়পর্বের জন্য আরেকটু বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে তাকে। হজ্ব সেরে দুই দিন যোগ দিয়েছেন দলের সঙ্গে, নতুন কোচের সঙ্গে এরপর অবশ্য আলাপ করেছেন অনুশীলনে বা এর বাইরেও। দুই দিনের অভিজ্ঞতায় কিছু বলা কঠিন, তবে আপাতত ডমিঙ্গোর বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহটাই বেশি মনে ধরেছে তার।

    কাল ঢাকার একটা পাঁচতারকা হোটেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে একটা অনুষ্ঠানে সাকিব কথা বলেছেন। স্টিভ রোডসের সঙ্গেও কাজ করেছেন, তার ব্যাপারেও দৃশ্যত সাকিবের মনোভাব ইতিবাচক ছিল। ডমিঙ্গোর অভিজ্ঞতার ব্যাপারটাও জানেন সাকিব, ‘আমাদের যে নতুন কোচ এসেছে তার অভিজ্ঞতা অনেক।  দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সঙ্গে ছিল প্লাস ওদের ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে ছিল।  কোচ না ভালো হওয়ার কারণ আমি দেখিনা।  যদিও মাত্র আমরা দুদিন শুরু করলাম।  ভালো-খারাপ আমরা কিভাবে মাপকাঠি করি সেটাও একটা ব্যাপার।  রেজাল্টের ওপর অনেক সময় ডিপেন্ড করে যে কোচ ভালো কিংবা খারাপ। অনেক সময় হতে পারে কোচ ভালো কিন্তু রেজাল্ট খারাপ হতে পারে। আবার অনেক সময় কোচ খারাপ হতে পারে কিন্তু রেজাল্ট দেখা যায় ভালো।  বলা মুশকিল যে ও কি করবে।’

    বিসিবি সভাপতি ডমিঙ্গোকে নিয়োগ দেওয়ার পরেই বলেছিলেন, ডমিঙ্গোর বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে পরিকল্পনাটাই বেশি মনে ধরেছে তাদের। সাকিবও সেটি শুনেছেন, ‘ও ওর সেরাটা দিতে এসেছে।  ওর নিজের আগ্রহের কথা বেশি শুনিছি।  আমার সাথে যখন পাপন ভাইয়ের কথা হয়েছে তখন বলা হয়েছে, ও অনেক আগ্রহ নিয়ে আমাদের এখানে কাজ করতে এসেছে। আমাদের ভবিষ্যত অনেক উজ্জ্বল বলে মনে করে ও।  সে কারণে ও আসতে চেয়েছে।  আমার কাছে মনে হয় এটা খুব ভালো একটা সাইন যে এরকম একজন আগ্রহ নিয়ে এসেছে ভালো কাজ করার জন্য।’

    আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বাইরে থাকায় একটু নতুন কাউকে বাজিয়ে দেখার সুযোগ আছে কি না সেই প্রশ্নও উঠল। সাকিব অবশ্য সেরকম মনে করছেন না, ‘জায়গা দেওয়া না দেওয়া বড় কথা না।  প্রতিটি দল কিন্তু খেলতে নামে জেতার জন্য।  সেটা বড় দল হোক কিংবা ছোট দল হোক। নতুন খেলোয়াড় আসুক আর নাই আসুক।  প্রতিটা দল যখন ম্যাচ খেলতে যায় তখন কিন্তু এটা চিন্তা করে না যে আমরা খেলোয়াড় তৈরি করতে যাচ্ছি কিংবা নতুন খেলোয়াড় দেখার জন্য যাচ্ছি।  সব কিছুই দেখবে কিন্তু দিনশেষে টার্গেট থাকে কিন্তু ম্যাচ জেতার। আমরাও ওই টার্গেটে কিন্তু খেলব।  তারজন্য যদি নতুন খেলোয়াড় নেওয়ার দরকার হয় তাহলে নতুন খেলোয়াড় নেব।  যদি দেখি অভিজ্ঞদের পারফর্ম করার সম্ভাবনা আছে তাহলে ওরাই খেলবে।’

    কিন্তু এই আফগানিস্তানকে কতটা চ্যালেঞ্জের মনে করেন? বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ দেখছেন না, ‘চ্যালেঞ্জ তো থাকে সব সময়ই। আফগানিস্তান যেভাবে ইমপ্রুভ করেছে তাদের বিপক্ষে যেকোনো ফরম্যাটে খেলা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জই। তাদের বেশ কিছু কোয়ালিটি খেলোয়াড় আছে যারা আমাদের জন্য ডেঞ্জারাস হতে পারে।  আমাদের খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে এবং টিম হিসেবে ভালো খেলতে হবে।  ব্যক্তিগত দুই একটি পারফরম্যান্স  দিয়ে জেতার সুযোগ খুব বেশি একটা থাকবে না। টিম হিসেবে ভালো খেলতে হবে।’