• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    জাতীয় লিগে তিন ধরনের উইকেট চান রাজ্জাক

    জাতীয় লিগে তিন ধরনের উইকেট চান রাজ্জাক    

    ওয়েলিংটন টেস্টে বাংলাদেশ একাদশে একমাত্র স্পিনার হিসেবে ছিলেন তাইজুল ইসলাম। ঠিক পরের টেস্ট ছিল চট্টগ্রামে। কন্ডিশন বদলানোর সঙ্গে বদলে গেছে বাংলাদেশের কম্বিনেশনও, সেখানে তাইজুলই ছিলেন ওপেনিং বোলার। এসব মাথায় রেখে জাতীয় লিগে তিন ধরনের উইকেট বানানোর কথা বলছেন অভিজ্ঞ স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। 

    “এখন কিন্তু উইকেটে ঘাস থাকে”, জাতীয় লিগের সাম্প্রতিক উইকেট নিয়ে বলছেন রাজ্জাক, “কিছু উইকেটে হয়তো ময়েশ্চার থাকে, তবে ঘাস থাকে। আমি তিন ধরনের উইকেটে খেললে ভাল হবে বলে মনে করি। এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি।” 

    শেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টেও বাংলাদেশ নেমেছিল স্বীকৃত কোনও পেসার ছাড়াই। তবে আফগান-স্পিনে সে উইকেটে ধরাশায়ী হয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষর স্পিন-আক্রমণের কথা চিন্তা করে জাতীয় লিগে কিছু স্পিনিং উইকেট বানানোর কথা বলছেন তাই তিনি, “অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দল হলে অবশ্যই আমরা টার্নিং উইকেট বানানোর দিকে যাব। তবে তাদের দলে তো একটা হলেও স্পিনার থাকতে হবে। জাতীয় লিগে এরকম উইকেটে ব্যাটিংয়ের এই প্রস্তুতি নিয়ে ফেললে (আমরা এগিয়ে থাকব)। শুধু ঘাসের উইকেটে খেললেই হয়ে গেল, তা নয়। যাতে আমরা সেই এক স্পিনারকে ভয় না পাই। যাতে ব্যাটসম্যানরা আরও ভালভাবে সামলাতে পারে তাকে।” 

    একইভাবে তিনি বলছেন ব্যাটিং উইকেটের কথাও, “এসব উইকেটে ব্যাটসম্যানদের যাতে সেই ধারণা থাকে, এখানে কিভাবে লম্বা সময় ধরে খেলা যায়।” 

    আবার এখন প্রায় নিয়মিত হয়ে ওঠা ঘাসের উইকেটের কথাও তিনি বলছেন নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ডের মতো সিমিং কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এমন বিচিত্র উইকেট কতোখানি সম্ভব, সেটি নিশ্চিত নন রাজ্জাক, “আমি নিশ্চিত, এসব শুধু আমার না, যারা আয়োজন করে সবার মাথাতেই আছে। হয়তো কিছু কিউরেটরের স্বল্পতা আছে। খুব বিশেষজ্ঞ কেউ হয়তো নেই। আমি জানি না ঠিক। তবে হয়ে যাবে এসব।”

    জাতীয় লিগ একটা পালাবদলের মধ্য দিয়েও যাচ্ছে বলে ধারণা তার, “গত পাঁচ বছর ধরে নিয়মিত খেলি। এর আগে যা হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ মনোভাব থাকে এখন। কেউই এখন অল্পতে সন্তুষ্ট থাকে না। আজ বললাম, আর কাল বোলার ৫-১০ উইকেট পেল, তা হয় না। 

    “অনেক কিছু বদলাতে হচ্ছে। সবকিছুরই তো একটা ‘টার্নওভার টাইম’ থাকে, যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় এখন সে সময়টা যাচ্ছে।”