• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    মেসিকে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছেন চেক

    মেসিকে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছেন চেক    

    গেলো বছরটা শেষ করেছেন প্রিমিয়ার লিগে ১৭০টি ম্যাচ গোল হজম না করে থাকার নতুন রেকর্ড গড়ে। আর নতুন বছরের শুরুতে চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে বার্সেলোনা-আর্সেনাল দ্বৈরথের আগে গানারদের গোলরক্ষক পিটার চেক আলোচনায় উঠে আসছেন প্রায় অনুরূপ এক কারণেই, কাতালানদের আক্রমণভাগের পুরোধা লিওনেল মেসি এখনও পর্যন্ত চেক প্রজাতন্ত্রের এই গোলরক্ষকের দেয়াল অতিক্রম করে জালে বল জড়াতে পারেন নি। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারের বিপক্ষে এই বিরল রেকর্ডটি আরও দীর্ঘায়িত করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করলেও চেক বলছেন, ব্যক্তিগত রেকর্ডের চেয়ে দলের সাফল্যই তাঁর কাছে মুখ্য।

     

     

    ইউরোপসেরা নির্ধারণের টুর্নামেন্টটিতে এখনও পর্যন্ত বার্সেলোনাকে হারাতে পারে নি আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে গ্রুপ পর্বে ব্লাউগ্রানাদের বিপক্ষে একটি ড্র আর একটিতে হার দিয়ে শুরু। এরপর ২০০৬, ২০১০ ও ২০১১ তিনবারেই বার্সেলোনার মোকাবেলায় পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় গানারদের। এই সময়কালে সাতবারের মুখোমুখিতে একটি জয়ই সম্বল ওয়েঙ্গারের ছেলেদের। এ যাত্রায় চেলসি থেকে আর্সেনালে যোগ দেয়া চেকের ব্যক্তিগত রেকর্ড বলছে অন্তত ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ার প্রত্যাশা করতেই পারে লন্ডনের ক্লাবটি।

     

    ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত আটবার মেসির মুখোমুখি হয়েছেন পিটার চেক, কিন্তু আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড একবারের জন্যও তাঁকে পরাস্ত করতে পারেন নি। স্বভাবতই কৃতিত্বতটা ধরে রাখতে চান ৩৩ বছর বয়সী চেক ফুটবলার। কিন্তু এই মুহূর্তে দলের জয়টা তাঁর কাছে আরও বেশী গুরুত্বপূর্ণ, “এমন লোক খুব বেশী পাওয়া যাবে না যারা বলতে পারবে যে তারা মেসির বিপক্ষে আট ম্যাচ বা এতো মিনিট খেলেছে কিন্তু সে তাদেরকে পরাস্ত করতে পারে নি। কিন্তু এবার সে গোল পেলেও সেটা আমার কাছে তেমন গুরুত্ব বহন করবে না যদি আমাদের দল পরের পর্বে যেতে পারে। আমার কাছে এখন এটাই বেশী প্রাধান্য পাচ্ছে।”

     

    ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে চেকের দারুণ দক্ষতা। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ ব্যবধানের জয়ের পর ন্যূ ক্যাম্পে ২-২ গোলে ড্র করে প্রথমবারের মতো ইউরোপসেরার মুকুট মাথায় তোলার পথে এগোয় মরিনহোর শিষ্যরা। ন্যূ ক্যাম্পের ম্যাচটিতে পেনাল্টিতে গোল করার সুযোগ পেয়েও বল বারে লাগিয়ে চেককে ভেদ করার সুযোগ হারিয়েছিলেন মেসি।

     

     

    এর আগে ২০০৯ সালের সেমিফাইনালে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের ম্যাচে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার ইনজুরি টাইমের গোলে ১-১ ড্র নিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় বার্সেলোনা। ওই গোলের অ্যাসিস্টটা মেসির পা থেকে এলেও মেসি নিজে গোলশূন্যই থেকে যান চেকের বিপক্ষে।

     

    চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে আর্সেনালের গ্রুপ পর্ব পেরোনোর লড়াইয়েও দারুণ সপ্রতিভ থেকেছেন চেক। বায়ার্নের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে একাধিক জোরালো আক্রমণ ঠেকিয়ে দেয়ার পর চেক-দেয়ালে ভর করে অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষেও ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্সেনাল। শেষ ষোলোর লড়াইয়ে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মেসিদের বিপক্ষে আর্সেনালের প্রথম দ্বৈরথটা ঘরের মাঠেই। এরপর ন্যূ ক্যাম্পে ফিরতি লেগের খেলা অনুষ্ঠিত হবে ১৬ই মার্চ।