• বাংলাদেশের ভারত সফর
  • " />

     

    ভারত যাওয়ার আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর ৮১

    ভারত যাওয়ার আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর ৮১    

    সাকিব আল হাসান এ ম্যাচে খেলবেন না, সেটা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই। শুধু এ ম্যাচ নয়, বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ভারত সফর ঘিরেই তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। প্রস্তুতি ম্যাচ অবশ্য হলো ‘ঠিকঠাক’ই, দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ৫১ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলে উজ্জ্বল সেখানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জাতীয় দলের বেশিরভাগ সদস্যদের নিয়ে গড়া লাল দলও জিতেছে এদিন মাহমুদউল্লাহর ওই ইনিংসের পর আবু হায়দার রনি ও আফিফ হোসেনের বোলিংয়ে ভর করে। 

    টসে জিতে এদিন আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ লাল, এরপরই পড়েছিল ব্যাটিং বিপর্যয়ে। ১৩ রানের মাঝেই ফিরেছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের পর মুশফিকুর রহিম। লিটন স্টাম্পড হয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজের বলে, এরপর যথাক্রমে আল-আমিন হোসেন ও এবাদত হোসেনকে টেনে মারতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ দিয়েছেন সৌম্য ও মুশফিক। আফিফকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহর ঘুরে দাঁড়ানোর প্রথম ধাপ এরপরই। 

    ৪র্থ উইকেটে এ দুজন যোগ করেছেন ৭৩ রান, এবাদতের বলে বোল্ড হওয়ার আগে আফিফ করেছেন ২৭ বলে ২৮ রান। এরপর ৫ম উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে আরও ৫১ রান যোগ করেছেন মাহমুদউল্লাহ। এ জুটির শুরুর ভাগে বেশ ধীরগতিতে উঠেছে রান, এরপরই গিয়ার বদলেছেন মাহমুদউল্লাহ। এক বল বাকি থাকতে রান-আউট হওয়ার আগে ৮১ রানের ইনিংসে ৮ চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছয়। মোসাদ্দেক করেছেন ১৮ বলে ১৪। 

    আল-আমিন ২৫ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট, এবাদত ৩ উইকেট নিতে খরচ করেছেন ৩১ রান। আর আঁটসাঁট বোলিং করেছেন মিরাজ, ৪ ওভারে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি মাত্র ১৫ রান দিয়ে। 

    ১৪২ রানতাড়ায় শুরুতে উইকেট হারিয়েছিল সবুজ দলও, এদিন শুরুতেই বোলিংয়ে আসা মোস্তাফিজের শিকার হয়েছেন নাঈম শেখ। দলীয় ১৮ রানে নাঈম হাসানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মোহাম্মদ মিঠুনও। তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত ও ইমরুল কায়েস তুলেছেন ৫৮ রান। দুজনই ফিরেছেন আফিফ হোসেনের একই ওভারে, দুজনই হয়েছেন বোল্ড। ইমরুল তো বোল্ড হয়েছেন মোটামুটি হাফ-ট্র্যাকারে, সামনের পা সরিয়ে হোয়্যাক করতে গিয়ে। 

    সাব্বির রহমান ও ইয়াসির রাব্বি এরপর চেষ্টা করেছিলেন দলকে পার করাতে, সফল হননি শেষ পর্যন্ত। মোস্তাফিজের শর্ট বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে সাব্বির করেছেন ১৫ বলে ১৩, রাব্বি ১৮ বলে ২২ রান করে রনির শিকার। এরপর রনি নিয়েছেন মিরাজের উইকেটও। ৩ ওভারে এই বাঁহাতি পেসার খরচ করেছেন ১৪ রান।