সাকিবের বিপক্ষে আইসিসির তদন্তের কথা জানতেন না বিসিবি সভাপতি
দুই দিন আগেই হাসিমুখে এসেছিলেন বিসিবিতে। আজ এলেন মুখে একরাশ আঁধার নিয়ে। সন্ধ্যায় জেনে গেছেন, আইসিসির দুর্নীতি সংক্রান্ত বিধিভঙ্গের কারণে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। তবে এর মধ্যে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞাদেশ দেওয়া হয়েছে। যার মানে এক বছর পর সবকিছু ঠিক থাকলে ফিরতে পারবেন। এর পর আইসিসির শর্ত ভঙ্গ করলে আরও এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পেতে হবে। মিরপুরে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানের সাথে বৈঠক হয়েছে তার। এরপর সাংবাদিকদের সামনে এসে বিসিবি সভাপতি শুধু বললেন, সাকিবের না খেলতে পারাটা তাদের জন্য বড় একটা ধাক্কা। আকসু যে সাকিবের সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলেছে, সেটা জানা ছিল না তাদের।
ঘটনার শুরু আরও বছর দুয়েক আগে। বাংলাদেশের ত্রিদেশীয় সিরিজ চলার সময় সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন দীপক আগরওয়াল নামের এক ভারতীয়। সে সময় খবরটা চেপে গিয়েছিলেন সাকিব আকসুর কাছে। পরে জানা গেছে, আগরওয়াল একজন জুয়াড়ি। আইসিসি এই ব্যাপারটা তদন্ত শুরু করে, এবং এই বছরের শুরু থেকে দুইবার সাকিবের সাথে কথা বলে। আজ মিরপুরে বিসিবি প্রধান নিশ্চিত করেছেন, এই ব্যাপারটা জানা ছিল না তাদের, ‘সাকিবের খেলতে না পারাই আমাদের জন্য শক। ভারত সিরিজের সব পরিকল্পনা ওকে ঘিরেই করা হয়েছে। রাগও হয়েছে, অস্বীকার করব না, কেন ও এটা জানায়নি। আমি এটাও বলতে চাই, এটা জেনে খুশি, যে ও স্বীকার করে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছে আকসুর কাছে। সাকিব নিজেই এই ঘটনার সাক্ষী, বিসিবি বা আমরা কেউ কিছু জানি না। আকসু আইসিসির আলাদা ইউনিট, ওরা স্বাধীন। আমার জানামতে, সাকিবের সাথে ওদের কথা হয়েছে। আমরা শুধু ফলটা জানতে চেয়েছি।’
নাজমুল হাসান বললেন, মাত্র কয়েক দিন আগে সাকিবের কাছে জানতে পেরেছেন এমন কিছু হতে পারে, ‘সাকিব আমাকে প্রথম বলল, যে পরশু সেরকম শাস্তি হতে পারে। আমাদের সাথে কোনো ইন্ট্যারাকশন হয়নি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের ওর পাশে থাকা উচিত। ওকে বলতে চাই, ভেঙে পড়ার কোনো কারণ নেই। যেভাবে ওকে সাপোর্ট করা দরকার, ওকে সাপোর্ট করবে। আমরা আশা করি, খুব শিগগির ও ক্রিকেটে ফেরত আসবে। এই সময় ওর পাশে থাকার জন্য যা দরকার সবই আমরা করব।’