সাকিবের মতো তথ্য গোপন করে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন যারা
ভারতীয় জুয়াড়ির প্রস্তাবের ব্যাপারটা আকসুকে না জানানোয় সাকিব আল হাসানকে পেতে হয়েছে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা। জুয়াড়িদের সাথে কথোপকথন আইসিসির কাছে গোপন করে এমন শাস্তি পাওয়ার ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। তথ্য গোপনের জন্য গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে শাস্তি দিয়েছে আইসিসি।
আরও পড়ুনঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ যা যা মিস করবেন সাকিব
ভারতের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের পরিচিত মুখ সিদ্ধার্থ ত্রিবেদী। আইপিএলে খেলেছেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে। ২০১৩ সালের আইপিএল চলার সময় ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন জুয়াড়িদের থেকে। তবে ব্যাপারটা আইসিসি ও আকসুকে জানাননি তিনি। এই ঘটনায় ২০১৩ সালে তাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। ত্রিবেদী পরে দিল্লী পুলিশের কাছে স্বীকার করেছিলেন, জুয়াড়িদের থেকে তিনি টাকা নিয়েও শেষ পর্যন্ত ফেরত দিয়েছিলেন।
রাজস্থান রয়্যালসের জার্সি গায়ে ত্রিবেদী
বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়ে সেটা আইসিসিকে না জানানোয় নিষিদ্ধ হয়েছেন দুইজন ক্রিকেটার। সাবেক নিউজিল্যান্ড ওপেনার লু ভিনসেন্ট ২০১৩ সালের বিপিএল চলার সময় জুয়ায়রিদের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। সেটা আকসুর থেকে গোপন করেন তিনি। পরের বছরের জুনে তাকে দেওয়া হয় তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা। শুধু বিপিএল না, ভিনসেন্ট গোপন করেছিলেন ইংলিশ কাউন্টির একটি ম্যাচের ফিক্সিংয়ের তথ্যও। এই কারণে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে ভিনসেন্টকে।
সাকিবের নিষেধাজ্ঞায় টুইটারেও ঝড়
ভিনসেন্টের মতো ২০১৩ সালের বিপিএলে জুয়াড়িদের থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পান শ্রীলংকার অলরাউন্ডার কৌশল লোকুয়ারাচ্চি। সেটা আকসুর কাছে গোপন করার দায়ে ২০১৪ সালে তাকে দেওয়া হয় ১৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা। সেই সাজার বিরুদ্ধে অবশ্য আপিল করেছিলেন তিনি, তবে তাতে শাস্তি কমেনি।
হংকংয়ের অলরাউন্ডার ইরফান আহমেদ ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মাঝে বেশ কয়েকবার ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন। সেই ব্যাপারে আকসুকে কিছু না জানানোয় ২০১৬ সালে তাকে ৩০ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরলেও এই বছর ফিক্সিংয়ের দায়ে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ইরফান।
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার থামি সোলেকিলের বিরুদ্ধেও উঠেছিল তথ্য গোপনের অভিযোগ। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ঘরোয়া ক্রিকেটের একটি ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ওঠে। ঐ ম্যাচের আগে জুয়াড়িরা সোলেকিলেকে প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রস্তাবের কথা আকসুকে জানাননি তিনি। এতেই সোলেকিলেকে দেওয়া হয় ১৬ বছরের নিষেধাজ্ঞা।
এই পাঁচ ক্রিকেটার ছাড়াও আকসুর কাছে তথ্য গোপন করে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন শ্রীলংকার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সনৎ জয়সুরিয়া। শ্রীলংকান ক্রিকেটের দুর্নীতি, ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে তদন্তের সময় তার থেকে তথ্য চেয়েছিল আকসু। সেই সময় জয়সুরিয়া লংকান নির্বাচক প্যানেলের সদস্য ছিলেন। তিনি এই ব্যাপারে আইসিসিকে কোনো সহায়তা করেননি, তদন্তের জন্য দেননি নিজের মুঠোফোনও। এই কারণে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে জয়সুরিয়াকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি।