আমি বলার আগে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে জানতো না বিসিবি : সাকিব
জুয়াড়ির অনৈতিক প্রস্তাব গোপন করায় তাকে দেওয়া আইসিসির নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে বিসিবি আগে থেকে কিছুই জানতো না বলে জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। শাস্তি ঘোষণা করার কয়েকদিন আগে তিনি নিজেই বিসিবিকে এ ব্যাপারে জানিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
২৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার এক মিডিয়া রিলিজে ক্রিকেট থেকে সাকিবকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় আইসিসি। তবে এ ঘোষণার সময় ও প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সাকিবের নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে সরব হয়ে উঠেছেন অনেকেই। ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ও টেলিকম কোম্পানি গ্রামীণফোনের সঙ্গে চুক্তির ফলে বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্কটা ঠিক সুবিধার যাচ্ছিল না সাকিবের।
এক ফেসবুক বার্তায় সাকিব বলেছেন, বিসিবি বরং নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটি জানার পর থেকেই সমর্থন দিয়ে আসছে, “আমি এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের পুরো তদন্ত ছিল গোপন, এবং শাস্তি ঘোষণার কয়েকদিন আগে আমি বলার পরই বিসিবি এ ব্যাপারে জেনেছে। এরপর থেকেই বিসিবি আমাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, আমার পরিস্থিতি বুঝতে পারছে। এ কারণে আমি কৃতজ্ঞ।”
নিজের ও পরিবারের জন্য এ সময়কে অনেক কঠিন উল্লেখ করে সাকিব সবাইকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছেন, “গত কয়েকদিনে আমি অন্য যে কোনও সময়ের চেয়ে আরও ভালভাবে বুঝতে পেরেছি, নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি। এ ব্যাপারে আমি আমার সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলব, ধৈর্য্য ধরতে বলবো। হয়তো তারা আমাকে শাস্তি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
“আমি বুঝতে পারছি কেন অনেকেই সহায়তা করতে চাইছেন এবং আমি এটিকে সম্মান জানাই। তবে এ ব্যাপারটি প্রক্রিয়াধীন। এবং আমি আমার শাস্তি মেনে নিয়েছি, কারণ, আমার কাছে এটিই সঠিক বলে মনে হয়েছে।”
২০২০ সালে আবার বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেটে ফেরার দিকেই পুরো নজর বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জুয়াড়ির কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পাওয়ার পরও সেটি গোপন করায় আইসিসির দুর্নীতি দমন কোডের তিনটি ধারা ভঙ্গের দায়ে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব। ৩০ অক্টোবর ২০২০ সালের আগে ক্রিকেটে ফেরা হবে না তার।