ডাবল পাওয়া হলো না সাদমানের, ড্রাইভিং সিটে সিলেট-ঢাকা মেট্রো
সাদমান ইসলাম আক্ষেপ করতেই পারেন। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি থেকে ৩৮ রান দূরে ছিলেন ঢাকা মেট্রোর এই ওপেনার। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত হয়নি। তবে মেট্রো চট্টগ্রামকে চেপে ধরেছে দারুণভাবে, ইনিংস পরাজয় এড়ানোটাই এখন চট্টগ্রামের জন্য চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে ভালো জায়গায় আছে সিলেট।
******
দ্বিতীয় দিন শেষে
ঢাকা মেট্রো ৪০৩
চট্টগ্রাম ৯১ ও ৯৬/৩
১৬২ রান নিয়ে নেমেছিলেন আজ সাদমান। ৪ উইকেটে ৩৫৭ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল ঢাকা মেট্রো। কিন্তু দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান জাবিদ হোসেন। শরিফুল্লাহও টেকেননি বেশিক্ষণ, কোনো রান না করেই ফিরে যান ইফরান হোসেনের বলে। সাদমান অবশ্য আগের দিনের সঙ্গে আরও ১৬ রান যোগ করে ফেলেছিলেন, প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি থেকে ছিলেন ২২ রান করে। এর পরেই ইফরানের বলে বোল্ড হয়ে গেছেন। ৩৮০ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়েছে মেট্রো, এর পর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে তাদের ইনিংস। তাসকিন, শহিদুল, আসিফ হাসান ফিরে গেছেন দ্রুত। ৪০৩ রানে অলআউট হয়ে গেছে মেট্রো। চট্টগ্রামের হয়ে তিন উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ। নাঈম হাসান, ইফরান হোসেন ও তরুণ লেগ স্পিনার মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি পেয়েছেন দুইটি করে উইকেট।
চট্টগ্রাম ৩৪ রানে হারায় প্রথম উইকেট, সাদিকুর রহমান আউট হয়ে যান তাসকিনের বলে। এরপরেই তারা খেই হারিয়ে ফেলে, হঠাৎ করেই ভুলে যায় ব্যাটিং। সাদিকুর, ইরফান শুক্কুর ও পিনাক ঘোষ তাও দুই অংক ছুঁয়েছেন; তাসামুল হক, মাহিদুল অংকন ও অধিনায়ক ইয়াসির আলী সেটাও পারেননি। ৩০.৫ ওভার খেলে ৯১ রানে অলআউট হয়ে গেছে চট্টগ্রাম। মেট্রোর হয়ে ডান হাতি স্পিনার শরিফুল্লাহ নিয়েছেন চার উইকেট, তাসকিন নিয়েছেন তিনটি।
ফলো অনে নেমে ১৩ রানের মধ্যে দুই ওপেনার শুক্কুর ও সাদিকুরকে হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম। এরপর ফেরেন অংকনও। তবে পিনাক ও তাসামুল বাকি দিনে কোনো বিপদ হতে দেননি। মেট্রোকে আবার ব্যাট করাতে অবশ্য ২১৬ রান করতে হবে চট্টগ্রামকে, হাতে উইকেট আছে সাতটি।
******
দ্বিতীয় দিন শেষে
বরিশাল ১৬২ ও ১২/১
সিলেট ৩২২
আগের দিনে এবাদতের তোপে উড়ে গিয়েছিল বরিশাল। সিলেটের দুই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ও শানাজ আহমেদ ভালো একটা শুরুই এনে দিয়েছিলেন কাল। আজ সকালে অবশ্য নাইটওয়াচম্যান এনামুল জুনিয়রের পর ফিরে যান তৌফিকও। ১৭৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লাঞ্চে গেছে সিলেট।
শানাজ সেঞ্চুরির দিকে এগুচ্ছিলেন, শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে গেলেন ৭৩ রান করে। এর পর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে সিলেট। জাকির ফিফটি পেয়েছিলেন, কিন্তু এরপর আউট হয়ে গেছেন ৫৩ রানে। অলক কাপালি, জাকের আলী শুরুটা পেয়েও বড় করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৩২২ রানে অলআউট হয়ে গেছে সিলেট। তাতেই অবশ্য লিড হয়ে গেছে ১৬০ রানের। বরিশালের হয়ে মনির হোসেন ছিলেন সফলতম বোলার, ৬৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
দিনের শেষে ব্যাট করতে নেমে ১২ রান তুলতে ওপেনার রাফসানকে হারিয়েছে বরিশাল। সিলেটকে আরেক ব্যাট করাতেই তাদের করতে হবে আরও ১৪৮ রান।