রাজ্জাকের ১২ উইকেট, তাইবুর-শুভাগত-নাদিফের সেঞ্চুরি
১ম স্তর, মিরপুর, ৩য় দিনশেষে
রংপুর ১ম ইনিংস ২২৪ অল-আউট (নাসির ৪০, রাজ্জাক ৭/৬৯) ও ২য় ইনিংস ২১১ (নাসির ৭৬, আরিফুল ৫৮, রাজ্জাক ৫/৭১)
খুলনা ১ম ইনিংস ২৩৩ অল-আউট (মেহেদি ১১৯, রবিউল ৫/৪১) ও ২য় ইনিংস ১৩০/৫* (আরিফুল ৩০*, মেহেদি ৩০*, শুভ ৪/২৭)
খুলনার জয়ের জন্য ৫ উইকেটে ৭৩ রান প্রয়োজন
আব্দুর রাজ্জাকের তোপ সামলে প্রথমে ঘুরে দাঁড়ালেন নাসির হোসেন ও আরিফুল হক। এরপর আবার মেহেদি হাসানের তোপ, রংপুর গুটিয়ে গেল ২১১ রানেই। রানতাড়ায় শুরুতে ইমরুল কায়েসকে হারানোর পর এনামুল হক ও ইমরান উজ্জামানে ভর করে শক্ত অবস্থান ছিল খুলনার, সোহরাওয়ার্দি শুভর ঝড়ে আবার এলোমেলো খুলনাকে জয়ের পথে রেখেছেন এরপর মেহেদি ও জিয়াউর রহমান। শেষদিন খুলনার প্রয়োজন ৭৩ রান, রংপুরের ৫ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল রংপুর, সাজিদুল ইসলাম ফিরেছিলেন আর ২ রান যোগ করার পরই। ৬ষ্ঠ উইকেটে নাসির ও আরিফুল এরপর যোগ করেছেন ১১০ রান। ৫৮ রান করা আরিফুলকে এলবিডব্লিউ করে সে জুটি ভেঙেছেন মেহেদি। একপাশে দাঁড়িয়ে ধীমান ঘোষ ও রিশাদ হোসেনের দ্রুত ফিরে যাওয়া দেখা নাসিরও হার মেনেছেন অবশেষে, রাজ্জাকের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে তিনি করেছেন ৭৬ রান। এরপর মুকিদুল ইসলামকে বোল্ড করে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেছেন রাজ্জাক। এ নিয়ে ম্যাচে ১২ উইকেট পেলেন তিনি।
রানতাড়ায় ইমরুল করেছেন ১১ রান, মুকিদুলের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে। দ্বিতীয় উইকেটে এনামুল ও ইমরান তুলেছেন ৪০ রান, এরপর ১৭ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়েছে খুলনা। এ ৪ উইকেটই নিয়েছেন শুভ।
৬ষ্ঠ উইকেটে মেহেদি ও আরিফুলের জুটি এখন পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন ৬২ রানে, দুজনই অপরাজিত আছেন ব্যক্তিগত ৩০ রান করে।
****
১ম স্তর, কক্সবাজার, ৩য় দিনশেষে
রাজশাহী ১ম ইনিংস ২৩০ অল-আউট (শান্ত ৫৬, মুক্তার ৫৬*, সানজামুল ৪৯, সুমন ৩/৪৩, শুভাগত ৩/৫৭) ও ২য় ইনিংস ৭৭/৩*
ঢাকা ১ম ইনিংস ৪৭৫/৭ ডিক্লে. (তাইবুর ১০২, শুভাগত ১০৪, নাদিফ ১০১*, সানজামুল ৪/১৬২)
রাজশাহী দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৬৮ রানে পিছিয়ে
সেঞ্চুরির হাতছানি ছিল তাইবুর রহমান ও শুভাগত হোমের। এ দুজনের পর সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন ঢাকা অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরিও। এরপর ফিফটি পেয়েছেন সুমন খান। ৪৭৫ রানের বড়সড় সংগ্রহের পর তারা প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে ২২৭ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে রাজশাহী। ঢাকাকে আবার ব্যাটিং করাতে তাদের করতে হবে আরও ১৬৮ রান। অবশ্য ৪১ রানে অপরাজিত জুনাইদ সিদ্দিক আশা জোগাচ্ছেন তাদের।
সেঞ্চুরি থেকে ৭ ও ৮ রান দূরে দিন শুরু করেছিলেন তাইবুর ও শুভাগত। প্রথমে সেটি পূর্ণ করেছেন তাইবুর, ১৭৯ বলে। শুভাগতর তিন অঙ্কে যেতে লেগেছে ১৭৬ বল। অবশ্য সেঞ্চুরির পরপরই ফিরেছেন দুজন-- দুজনই শিকার ফরহার রেজার। তাইবুর শেষ পর্যন্ত করেছেন ১০২ রান, শুভাগত করেছেন ১০৪।
এরপর নাদিফ তুলেছেন ঝড়। প্রথমে নাজমুল ইসলামকে নিয়ে ৭ম উইকেটে ৪৯ রান যোগ করেছেন তিনি, আর ৮ম উইকেটে সুমনের সঙ্গে তার জুটি অবিচ্ছিন্ন ছিল ১১৩ রানে। মাত্র ১৩৮ বলে ৭টি করে চার ও ছয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন নাদিফ, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১০১ রানে। সুমন ৬৬ বলে করেছেন অপরাজিত ৫০ রান, ৫টি চারের সঙ্গে তিনি মেরেছেন ৩টি ছয়। এরপরই ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছে ঢাকা।
দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার সাব্বির হোসেনকে হারিয়েছে রাজশাহী, এরপর ২৮তম ওভারে নাজমুল করেছেন জোড়া আঘাত। দিনশেষে জুনাইদের সঙ্গী ১৭ রানের ব্যাটিং করা নাজমুল হোসেন শান্ত।