'সুইং বেশি, উজ্জ্বলতা দ্রুত যায়'- গোলাপি বল নিয়ে ইমরুলের অভিজ্ঞতা
জাতীয় লিগে খুলনা-রংপুরের ম্যাচ শেষে মিরপুরের মাঝের উইকেটেই নেট করতে নেমে পড়লেন ইমরুল কায়েস, তাকে বোলিং করলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। পরে ব্যাটিং করলেন মিরাজ নিজেও। তবে এ অনুশীলনের আলাদা তাৎপর্য- গোলাপী বল। ভারত সফরে কলকাতায় দ্বিতীয় টেস্টটি হবে দিবা-রাত্রির, গোলাপি বলে। দেশ ছাড়ার আগে সেটিরই প্রস্তুতি হিসেবে প্রথমবারের মতো গোলাপি বলের ‘স্বাদ’ নিলেন ইমরুল-মিরাজরা।
অবশ্য অনুশীলনের জন্য ইমরুলদের জন্য আনানো হয়েছে কুকাবুরার গোলাপি বল, ভারতে তাদেরকে খেলতে হবে এসজি বলে। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে গোলাপি এসজি নিয়ে সমালোচনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেটা নিয়েই টেস্ট খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। এজন্য ৭২টি বল অর্ডারও করেছে তারা। তবে গোলাপি এসজির স্বাদ পেতে ভারত যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ইমরুলদের। আপাতত লাল ও গোলাপি বলের পার্থক্য খুঁজতেই ব্যস্ত তিনি।
প্রথমবার গোলাপি বলে অনুশীলনের অভিজ্ঞতা নিয়ে ইমরুল বললেন লাল বলের সঙ্গে এর পার্থক্য, “গোলাপি বল সুইংটা একটু বেশি করে বলে আমার কাছে মনে হলো। যেহেতু আমি প্রথমবার অনুশীলন করলাম, হয়তো এরপর আরেকটু ভালো করে বুঝতে পারবো আসলে কী হয়। মিরপুরের উইকেট একটু কঠিন ছিল, কিন্তু আমার কাছে মনে হয় গোলাপি বল সুইং বেশি করে।”
লাল বলের চেয়ে গোলাপি বলের উজ্জ্বলতা একটু আগে নষ্ট হবে বলেও ধারণা তার, “লাল বলে উজ্জ্বলতাটা নষ্ট হতে একটু সময় লাগে। কিন্তু গোলাপি বলে আমি যতটুক খেললাম আমার কাছে মনে হয় যে উজ্জ্বলতাটা দ্রুত কমে। তবে যতক্ষণ থাকবে সুইংটা একটু বেশি করবে।”
অবশ্য কুকাবুরার সঙ্গে যে কোনও রঙের এসজি বলেরই পার্থক্য- কুকাবুরার চেয়ে এসজি বলের সিমটা একটু উঁচু বেশি। গোলাপি এসজি নিয়ে অনিশ্চয়তাটার চেয়ে দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলার রোমাঞ্চটাই বেশি আপাতত ইমরুলের, “দেখেন এটা নিয়ে আসলে আমার বলার কিছু নাই। আমি কখনো অনুশীলন করিনি, আজই প্রথম করলাম কুকাবুরা বলে। এসজি বলটা কেমন হবে সেটা ওখানে গেলে দুই একদিন অনুশীলন করলে বুঝব।
“(এর আগে) খেললে তো অবশ্যই ভালো হত। কারণ আমরা তো অভ্যস্ত না, ওখানেই প্রথমবার। ভারতও কখনো খেলেনি, আমরাও না। দুইটা দলের জন্যই অভিজ্ঞতা হবে বলা যায়। দুই দলই রোমাঞ্চিত।”