জাতীয় লিগে বৃষ্টির হানা, সেঞ্চুরিতে উজ্জ্বল শামসুর
বৃষ্টির কারণে ঢাকা ও বরিশালের দুটি ভেন্যুতে শুরুই হতে পারেনি জাতীয় লিগে ৫ম রাউন্ডের প্রথম স্তরে খুলনা-রাজশাহী ও দ্বিতীয় স্তরে বরিশাল-চট্টগ্রামের ম্যাচ দুটি। উত্তরবঙ্গের দুই ভেন্যু বগুড়া ও রাজশাহীতে শুরু হয়েছে খেলা।
১ম স্তর, বগুড়া
রংপুর ১ম ইনিংস ১১০/৫*, ৪১ ওভার (শুভ ৫৭, নাঈম ২৩, শাকিল ২/৩২, শাহাদাত ২/৩৩) বনাম ঢাকা
ভেজা মাঠ ও আলোকস্বল্পতায় খেলা শুরু হয়েছে ১১.৩০-এরও পরে, টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে ঢাকা। সোহরাওয়ার্দি শুভর ফিফটি ছাড়া রংপুর বলতে গেলে বিপর্যয়ের মুখেই পড়েছে, ১১০ রান তুলতে তারা হারিয়ে ফেলেছে ৫ উইকেট।
প্রথম দুই ওভারেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে শুরুটা বীভৎস হয়েছিল রংপুরের। ইনিংসের চতুর্থ বলে শাহাদাত হোসেন ফিরিয়েছেন ওপেনিংয়ে নামা রিশাদ হোসেনকে, পরের ওভারের চতুর্থ বলে সালাউদ্দিন শাকিলের শিকার মেহেদি মারুফ। দুই ওপেনারই ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটকিপার শাকিল হোসেনকে।
তৃতীয় উইকেটে শুভ ও অধিনায়ক নাঈম ইসলাম বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, দুজনের জুটিতে উঠেছে ৭৮ রান। লাঞ্চের আগে ২ উইকেটে ৫৭ রান নিয়ে যাওয়া রংপুরকে টানছিল এ জুটিই। নাজমুল ইসলাম অপু ঢাকাকে দিয়েছেন ব্রেকথ্রু, ৯৬ বলে ১১ চারে ৫৭ রান করে তার বলে ক্যাচ দিয়েছেন শুভ। তিন বল পর শাহাদাতকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন নাঈম। এরপর আরিফুল দিনে শাকিলের দ্বিতীয় শিকার ও উইকেটকিপার শাকিলের তৃতীয় ক্যাচ বনেছেন।
চা-বিরতিতে রংপুর গিয়েছিল ৫ উইকেটে ১১০ রান নিয়ে, নাসির হোসেনের সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন তানভীর হায়দার। বিরতির পর আলোকস্বল্পতার কারণে আর শুরু হতে পারেনি খেলা। ৪.২০-এর দিকে দিনের খেলার ইতি টেনেছেন আম্পায়াররা।
****
২য় স্তর, রাজশাহী
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ২৮২/৭*, ৭৬ ওভার (শামসুর ১১৪, আল-আমিন ৬৯, রেজাউর ৪/৪৯, এনামুল জুনিয়র ৩/৬৯) বনাম সিলেট
বগুড়ার চেয়ে বেশি খেলা হয়েছে রাজশাহীতে। ঢাকা মেট্রোর শামসুর রহমান সেখানে করেছেন সেঞ্চুরি, আল-আমিন করেছেন ৬৯। সিলেটের রেজাউর রহমান নিয়েছেন ৪ উইকেট, ৩টি নিয়েছেন এনামুল জুনিয়র। সব মিলিয়ে প্রথম দিনে যে ৭৬ ওভার খেলা হয়েছে, তাতে দুই দলই প্রায় সমান। ৩.৭১ হারে ২৮২ রান তুলেছে মেট্রো, সিলেট নিয়েছে ৭ উইকেট, এর মাঝে ৪টিই তারা নিয়েছে ৩২ রানের ব্যবধানে।
রাজশাহীতে খেলা শুরু হয়েছিল নির্ধারিত সময়েই। টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল সিলেট, আজমির আহমেদকে ফিরিয়ে ৬ষ্ঠ ওভারেই তাদের প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছিলেন এনামুল। আরেক ওপেনার রাকিন আহমেদ ও শামসুর লাঞ্চের আগে পরে তৃতীয় উইকেট জুটিতে তুলেছেন ৯৮ রান। ২ রানের জন্য ফিফটি মিস করেছেন রাকিন, এনামুলের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি।
এরপর মার্শাল আইয়ুবকেও ফিরিয়েছেন এনামুল, ৯ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট নিয়ে মেট্রোকে কিছুটা চেপে ধরেছিল সিলেট। সে চাপ আলগা করেছেন শামসুর ও আল-আমিন। চা-বিরতির আগে-পরে দুজন মিলে যোগ করেছেন ১২৬ রান, ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৮৫ বলে ৬৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন আল-আমিন। রেজাউরের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি। সে ওভারেই জাবিদ হোসেনও ফিরেছেন উইকেটকিপার অমিত হাসানকে ক্যাচ দিয়ে।
পরের ওভারে রেজাউর নিয়েছেন শামসুরের বড় উইকেটটি, ১৯৩ বলে ১৩ চারে ১১৪ রান করে শামসুর দিয়েছেন ক্যাচ। এর আগে ১৮০ বলে ক্যারিয়ারের ১৭তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন অভিজ্ঞ শামসুর।
১০ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট নিয়ে উজ্জীবিত সিলেট শেষবেলায় ফিরিয়েছে শহিদুল ইসলামকে, এ উইকেটও নিয়েছেন ডানহাতি পেসার রেজাউর।
৩.৪০-এর দিকে আলোকস্বল্পতায় অফিশিয়ালি শেষ হয়েছে প্রথম দিনের খেলা।