বিপ্লব-নাঈমে মুগ্ধ ডমিঙ্গো
দিল্লিতে জয়ে উড়ছিল বাংলাদেশ, এরপর রাজকোটে নেমে এসেছে মাটিতে। কাল নাগপুরেই হবে সিরিজের মীমাংসা। সিরিজে জিতলে সেটা বাংলাদেশের জন্য তো অনেক বড় অর্জন বটেই, এখন পর্যন্ত কিছু প্রাপ্তি বোধ হয় পেয়ে গেছে। তরুণ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও নাঈম শেখ যে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে একটু হলেও আশা দেখাচ্ছেন।
বিপ্লবকে নিয়েই আলোচনাটা বেশি হচ্ছে। দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের অভিষেকেই আলো কেড়েছিলেন, দারুণ বল করে নিয়েছিলেন দুই উইকেট। সেবার হাতের চোটে আর খেলা হয়নি, তবে ছোট্ট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা দিতে হয়েছে ভারত সফরে। এখন পর্যন্ত তিনি লেটার মার্ক পেয়েই পাশ। দিল্লিতে প্রথম ম্যাচে শুরুতে বোকা বানিয়েছেন লোকেশ রাহুলকে। পরে ছয় কেয়েও শেষ পর্যন্ত শ্রেয়াস আইয়ারকে ফ্লাইটে বিভ্রান্ত করে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন। ভারতের ইনিংসের গতিপথই বদলে দিয়েছিল ওই দুই উইকেট।
দিল্লিতে তাও উইকেট থেকে একটু সাহায্য মিলছিল, রাজকোটে সেটাও হয়নি। বাংলাদেশের অন্য সব বোলার যেমন লাইন-লেংথ খুঁজে বেরিয়েছেন, বিপ্লবকেই যা একটু সমীহ করে খেলেছেন রোহিতরা। দারুণ এক টার্নে বোকা বানিয়ে বোল্ড করেছেন ধাওয়ানকে, পরে ফিরিয়ে দিয়েছেন সেঞ্চুরির সুবাস পেতে থাকা রোহিতকেও। বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও মানছেন, বিপ্লব দলের জন্য বড় এওটা পাওয়া, ‘আমি সবসময় চেয়েছি একাদশে একজন লেগ স্পিনার থাকুক। আমি জানি আমিনুল যতটা না বোলার, এর চেয়েও বেশি ব্যাটসম্যান। কিন্তু ওর উদ্যম, ইচ্ছা আর খেটে যাওয়া আমাকে মুগ্ধ করেছে।’ রাজকোটের ম্যাচের কথাও আলাদা করে বললেন ডমিঙ্গো, ‘বিপ্লবকে দলে পাওয়া আমাদের জন্য অবশ্যই দারুণ একটা ব্যাপার। আগের ম্যাচে সে ৩.৫ ওভার বল করে ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছে, এরপর সে একটি ছয় খেয়েছে। একজন তরুণ বোলার হয়ে ওরকম চাপের মধ্যে সে যেরকম বল করেছে, সেটা আসলেই দারুণ।’
প্রতিশ্রুতির আভাস দিচ্ছেন আরেক তরুণ মোহাম্মদ নাঈমও। টি-টোয়েন্টি রেকর্ড খুব ভালো ছিল না তার। প্রথম দুই ম্যাচে খুব বড় কিছু করতে না পারলেও জানান দিয়ে রেখেছেন, ঠিক পথেই আছেন। দিল্লিতে ২৬ রানের পর রাজকোটে করেছেন ৩৬ রান। ভবিষ্যতের জন্য নাঈমকেও তাই চোখে রাখছেন ডমিঙ্গো, ‘নাঈমের টি-টোয়েন্টি রেকর্ড খুব একটা ভালো ছিল না। কিন্তু এই ফরম্যাটে আমরা দেখতে চাই নতুন কারা বেরিয়ে আসে। তামিম, মুশি, রিয়াদ কতদিন খেলবে আমরা জানি না, তাই তরুণদের জন্য এটা সুযোগও। টেস্টে আমরা সাইফ হাসানকে পাচ্ছি, ওর কী অবস্থা সেটাও আমরা দেখব। ’
তৃতীয় ম্যাচের আগে ডমিঙ্গো অবশ্য জোর দিচ্ছেন, একজনকে বড় ইনিংস খেলতেই হবে, ‘মুশফিক প্রথম ম্যাচে বড় ইনিংস খেলেছিল, আমরা জিতেছিলাম। রোহিত পরের ম্যাচে বড় ইনিংস খেলেছে, ভারত জিতেছে। আমাদের কেউ যদি ত্রিশে পৌঁছায়, তার লক্ষ্য থাকা উচিত সত্তর বা আশিতে যাওয়া।’