অভিষেকে অমিতের ঝড়ো সেঞ্চুরি, বরিশালে ঝড়ের দাপট
২য় স্তর, রাজশাহী
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ৩১১/৮* ডিক্লে. (শামসুর ১১৪, আল-আমিন ৬৯, রেজাউর ৫/৬০)
সিলেট ১ম ইনিংস ৩২২/৬* (অমিত ১২৫, গালিব ৫৯, শহিদুল ২/৬১)
সিলেট ১ম ইনিংসে ১১ রানে এগিয়ে
আগেরদিন সেঞ্চুরি করেছিলেন ঢাকা মেট্রোর শামসুর রহমান, এদিন করলেন সিলেটের অমিত হাসান, তাও আবার অভিষেকেই। রাজশাহীতে এদিন খেলা হয়েছে প্রায় ৯০ ওভারই, ৪ উইকেট বাকি রেখে মেট্রোর চেয়ে সেখানে ১১ রানে এগিয়ে গেছে সিলেট।
রাজশাহীতে দিনটি ছিল মূলত দুই অভিষিক্তর- অমিতের সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি করেছেন আরেক অভিষিক্ত আসাদুল্লাহ আল গালিব। দুজনের ১০৯ রানের জুটি অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছিল সিলেটকে।
সকালে ৭.৫ ব্যাটিং করে ২৯ তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছিল ঢাকা মেট্রো। শরিফুল্লাহ আউট হয়েছিলেন শুধু, সে উইকেট পেয়েছেন রেজাউর। আগের দিন ৪ উইকেট নেওয়া তরুণ এই পেসার তাই পেয়ে গেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ।
ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল সিলেট। ইমতিয়াজ হোসেন ও অমিত হাসানের ৫১ রানের জুটি বিপর্যয় ঘটতে দেয়নি। শরিফুল্লাহর বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ইমতিয়াজ করেছেন ৩৩ রান।
অলক কাপালি ও আসাদুল্লাহ গালিবের সঙ্গে অমিত এরপর ৪র্থ ও ৫ম উইকেটে তুলেছেন যথাক্রমে ৫৯ ও ১০৯ রান। কাপালি করেছেন ৪৩ বলে ৩২, ১২৪ বলে ৫৯ রান করে রান-আউট হয়েছেন গালিব।
গালিবের আগেই আউট হয়েছেন অমিত। সমানসংখ্যক বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন তিনি, শেষ পর্যন্ত ১৯ চার ও ১ ছয়ে ১২৪ বলে ১২৫ রান করে তিনি ক্যাচ দিয়েছেন আল-আমিনের বলে।
২৮০ রানে ৬ উইকেট হারানো সিলেটকে লিড নেওয়ার পর আরও টানছেন রাহাতুল ফেরদৌস ও এনামুল হক জুনিয়র। দিনশেষে দুজন অপরাজিত যথাক্রমে ৩০ ও ২০ রানে।
****
বরিশাল বনাম চট্টগ্রাম
আগের দিনের মতো এদিনও বৃষ্টির কারণে শুরু হতে পারেনি খেলা। বরিশালের স্টেডিয়াম রীতিমতো ভেসে গেছে, ছিল ঝড়ও। ‘বুলবুল’-এর প্রভাব একদম সরাসরি পড়েছে জাতীয় লিগের এই ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত পরের দুই দিন খেলা শুরু হতে পারলে সেটিই হতে পারে বিস্ময়।