ড্র ম্যাচে ফরহাদ রেজার ৬ উইকেটের ঝলক
১ম স্তর, মিরপুর
রাজশাহী ১ম ইনিংস ১৫১ অল-আউট (সানজামুল ৪৮, রুবেল ৭/৫১) ও ২য় ইনিংস ১৯১/৭ (অভিষেক ৫১, রাজ্জাক ৪/৬৯)
খুলনা ১ম ইনিংস ২০১ অল-আউট (অমিত ৫৯, রেজা ৬/৪৮)
ম্যাচ ড্র
আগেরদিন রুবেল হোসেন নিয়েছিলেন ৭ উইকেট, এদিন ৬ উইকেট নিলেন ফরহাদ রেজা। ফলটা অবশ্য ড্র ছাড়া ভিন্ন কিছু হলো না রাজশাহী-খুলনার ম্যাচে। খুলনাকে প্রথম ইনিংসে ২০১ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান তুলে থেমেছে রাজশাহী।
এ ম্যাচে দুই দলই পেয়েছে ৩.৫ পয়েন্ট। ২৯.৯৬ পয়েন্ট নিয়ে এক রাউন্ড বাকি থাকতে শীর্ষে আছে খুলনা। শেষ রাউন্ডে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থাকা ঢাকার সঙ্গে ম্যাচ তাদের, যে ম্যাচটি তাই হয়ে যেতে পারে এ মৌসুমের অলিখিত ফাইনাল। অন্যদিকে ১৭.১১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে রাজশাহী।
৪ উইকেটে ১৫৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল খুলনা, রেজার তোপে তারা পড়েছে শীঘ্রই। ১৬৪ রানে ৫ম উইকেট পড়েছিল তাদের, রেজার বলে বোল্ড হয়েছিলেন নুরুল হাসান সোহান। মোট ৩৭ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়েছে খুলনা, সবকটি উইকেটই নিয়েছেন রেজা!
নুরুলের পর মইনুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক হয়েছেন বোল্ড, জিয়াউর রহমান ও রুবেল দিয়েছেন ক্যাচ, আব্দুল হালিম হয়েছেন এলবিডব্লিউ। ৬ উইকেট নিতে রেজা খরচ করেছেন ৪৮ রান, ক্যারিয়ারে ১০ম বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট হলো এই পেসারের।
৫০ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নামা রাজশাহীর শুরুটা সুবিধার ছিল না। ১৫ রানেই তারা হারিয়েছিল মিজানুর রহমান ও জুনাইদ সিদ্দিককে, দুই উইকেটই নিয়েছেন হালিম। তবে ৫১ রানের ইনিংস খেলে একদিক আগলে ছিলেন অভিষেক মিত্র, ৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে রাজ্জাকের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি।
ফরহাদ হোসেনের ২৮, সাব্বির রহমানের ২৫ রানের পর মুক্তার আলির ৩৯ রানের ইনিংসকে সমর্থন দিয়েছে সানজামুল ইসলাম ও সাখির হোসেনের যথাক্রমে অপরাজিত ২৩ ও ১৭ রানের ইনিংস। রাজ্জাক ৪ উইকেট নিয়েছেন ৬৯ রান খরচ করে। এ ৪ উইকেট দিয়ে এ মৌসুমে ৩১ উইকেট হলো এ বাঁহাতি স্পিনারের।
আর দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটশূন্য থাকলেও ম্যাচসেরা হয়েছেন রুবেলই।