• বাংলাদেশের ভারত সফর
  • " />

     

    মানসিক অবসাদে ক্রিকেট থেকে বিরতি নিতে চেয়েছিলেন কোহলি

    মানসিক অবসাদে ক্রিকেট থেকে বিরতি নিতে চেয়েছিলেন কোহলি    

    মানসিক অবসাদের কারণে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের মাঝপথেই ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরতি নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ক্রিকেটে এরকম ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সফরের সময়ে তিনিও একই কারণে ক্রিকেট ছাড়ার কথা ভেবেছিলেন। 

    ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরটা দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছিল কোহলির। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে কোহলির রান ছিল মাত্র ১৩৪। কোনভাবেই ইংলিশ পেসারদের সুইং সামলাতে পারছিলেন না তিনি। বাজে পারফরম্যান্সের হতাশা এতোটাই জেঁকে বসেছিল কোহলির ওপর, সেই সিরিজের সময় ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে এমন কিছু মুহূর্ত গেছে যখন মনে হয়েছে সবকিছু শেষ। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে মনে হচ্ছিল, আমি কী করব সেটাই বুঝতে পারছি না। কাকে কী বলবো, কীভাবে বলব সেটাও না। সত্যি বলতে, আমি যে মানসিকভাবে স্বস্তিতে নেই ও খেলা থেকে দূরে থাকতে চাই সেটাই কাউকে বলতেও পারছিলাম না। এই ব্যাপারটা সবাই কীভাবে নিবে এটা আমি জানতাম না। আমার মনে হয় এসব ব্যাপার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন ক্রিকেটার দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলে তার ব্যাপারে খেয়ালও রাখা উচিত।’ 

    ম্যাক্সওয়েলের ক্রিকেট থেকে বিরতি নেওয়াকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন কোহলি, ‘যখন আপনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন, দলের সবার মতামত প্রকাশের জায়গা থাকা উচিত। ম্যাক্সওয়েল দারুণ একটা কাজ করেছে। তার এমন সিদ্ধান্ত সবাইকে বুঝিতে দিয়েছে, আপনি এসব ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায় ব্যাপারগুলো, তখন খেলা থেকে দূরে থাকার প্রয়োজন হয়।’ 

    ভারতের কেউ কখনো মানসিক অবসাদের কারণে খেলা থেকে বিরতি নেননি। ভবিষ্যতে কেউ এরকম কিছু করলে সেটাকে স্বাভাবিকভাবেই দেখার আহবান কোহলি, ‘আমি এটার পক্ষে। সবাই আসলে যার যার লক্ষ্য নিয়ে ব্যস্ত। অন্য কেউ কী ভাবছে সেটা বুঝার উপায় নেই। কিছু সময়ের জন্য খেলা থেকে দূরে থাকলে যদি আপনার অবসাদ একটু কমে তাহলে সেটাই করা উচিত। এটাকে সম্মান করা উচিত, নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত না। সব মানুষের সাথেই এমনটা হয়।’