ব্যাটিংয়ে অধিনায়কত্বের প্রভাব পড়তে দিতে চান না মুমিনুল
মুমিনুল হকের জন্য অভিজ্ঞতাটা বলতে গেলে নতুন। জাতীয় দলে তো কম দিন হচ্ছে খেলছেন না। বাংলাদেশের ১৫ জনের টেস্ট দলে শুধু মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ আর ইমরুল কায়েসই তার চেয়ে বেশি টেস্ট খেলছেন না। ‘সিনিয়র কোরেও’ এখন ঢুকে গেছেন, যদিও টেস্ট ছাড়া অন্য দুই ফরম্যাটে খেলার আর সুযোগ হয় না। তবে তিন সপ্তাহ আগেও যদি বলা হতো, ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়েই মুমিনুলের অধিনায়কত্বের অভিষেক হবে- নিজেই হয়তো হেসে তা উড়িয়ে দিতেন। তবে সেটিই হচ্ছে কাল ইন্দোরে, বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরু হচ্ছে মুমিনুলের টস দিয়ে। আজ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, অধিনায়কত্বের জন্য ব্যাটিংয়ের ধরনে পরিবর্তন আনবেন না মুমিনুল হক।
শুধু ব্যাটসম্যান মুমিনুলের জন্যই এই সফর বড় একটা পরীক্ষা হওয়ার কথা। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে অন্তত আড়াই হাজার করেছেন, এমন ব্যাটসম্যানের মধ্যে ৪০ রানের বেশি গড় আছে একমাত্র মুমিনুলের। কিন্তু সেখানে একটা শুভংকরের ফাঁকিও আছে। দেশে যখন তিনি দুর্দান্ত, বিদেশের মাটিতে তার রেকর্ডটা রীতিমতো হতাশার। দেশে তার গড় ৫৫, ক্যারিয়ারের আট সেঞ্চুরির সবই দেশের মাঠে। ১৪ টেস্ট খেলে দেশের বাইরে সেঞ্চুরি দূরে থাক, ফিফটিই আছে মাত্র ছয়টি। ২৩ গড়টাও মুমিনুলের ঘরের বাইরের দুর্দশার সাক্ষ্য দিচ্ছে। ভারতের মাটিতে সেই পরীক্ষা আরও কঠিন হওয়ার কথা। সেখানে অধিনায়কত্বের বাড়তি চাপ কতটা সামলাতে পারবেন?
মুমিনুল অবশ্য বলছেন, ‘আমার মনে হয় না অধিনায়কত্ব আমার ব্যাটিংয়ে কোনো পরিবর্তন আনবে। আগে আমি যেভাবে খেলেছি, সেভাবেই খেলার চেষ্টা করব। এটা নিয়ে বেশি ভাবলেই চাপে পড়ে যাব। অধিনায়ক হলে আমার ক্রিকেটীয় জ্ঞানও বাড়বে। আমি বলব, নিজের কিছু স্কিল দেখানোর সুযোগ এখন। মানসিকভাবে খাপ খাইয়ে নেওয়াটাই হচ্ছে আসল ব্যাপার।’
সাকিব নেই বলেই দায়িত্ব নিতে হচ্ছে মুমিনুলকে। আর ব্যাটিংয়ে সাকিবের সঙ্গে তামিমও না থাকায় আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য বাংলাদেশ কিছুটা হলেও অভাব পূরণের আভাস দিয়েছে দুজনের। কিন্তু টেস্টে ফরম্যাট আলাদা, সেখানে চ্যালেঞ্জ আরও অনেক বড়। মুমিনুল সেটা মেনে নেওয়ার জন্য তৈরি, ‘সাকিব এবং তামিমকে ছাড়া খেলাটা হবে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু ছেলেরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি।’
এর মধ্যে আবার যোগ হয়েছে গোলাপী বলে খেলার চ্যালেঞ্জও। মুমিনুল অবশ্য মনে করছেন না এটা বড় কোনো সমস্যা হবে, ‘এটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জ হবে। ঢাকায় গোলাপী বল দিয়ে অনুশীলন করেছি, এখানে এখনও তা করা হয়নি। প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্টের মধ্যে আমরা সেটার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারব। এখনও ঠিক জানি না গোলাপী বল কীরকম সুইং করবে। আমার মনে হয় না খুব বড় কোনো সমস্যা হবে। এটাকে আমি একটা সুযোগ হিসেবেই দেখছি।’
গোলাপী বলের আগে আপাতত লাল বলের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে মুমিনুলদের।