রুয়েলের রেকর্ড বোলিংয়ে বরিশালকে গুঁড়িয়ে দ্বিতীয় স্তরের চ্যাম্পিয়ন সিলেট
২য় স্তর, বগুড়া
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস ১০৬ (রুয়েল ৮/২৬, শুক্কুর ২১) ও ২য় ইনিংস ১৬৫ (ইরফান ৬৬, সাদিকুর ৬১, রুয়েল ৫/৩৯)
সিলেট ১ম ইনিংস ২৩০ অল-আউট (অমিত ৫৫, ইরফান ৪/৭৬)
প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণিতে পেসারদের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন আগেরদিন। পরদিন রুয়েল মিয়া গড়লেন ম্যাচে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। এবার ২৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছে তিনি, ফলে ম্যাচে ফিগার দাঁড়িয়েছে ৬৫ রানে ১৩ উইকেট। রুয়েলের তোপে দুই দিনেই বরিশালকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে সিলেট, দ্বিতীয় স্তরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের মৌসুমে প্রথম স্তরে ওঠা নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। ৩৬.০৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে তারা, দুইয়ে থাকা মেট্রো তাদের নাগাল পাবে না আর।
সকালটা অবশ্য এদিন আশাজাগানিয়া ছিল বরিশালের, সিলেটকে প্রথম ইনিংসে আগের দিনের বাকি থাকা ৫ উইকেটে আর ৪৪ রান যোগ করতে দিয়েছিল তারা। আগেরদিন ৪ উইকেট নেওয়া ইরফান হোসেন এদিন আরও ২ উইকেট নিয়েছেন, ৬ উইকেট নিতে তিনি খরচ করেছেন ৯৫ রান। সিলেটের শেষ ৪ ব্যাটসম্যানই আউট হয়েছেন ‘ডাক’ মেরে।
১২৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামা চট্টগ্রামের স্কোরকার্ড নিয়েছে অদ্ভুত এক চেহারা। ওপেনার সাদিকুর রহমান করেছেন ৬২, পাঁচে নামা অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর করেছেন ৬৬ রান। বাকি ৯ ব্যাটসম্যানের স্কোর এমন- ০, ০, ৬, ১০, ৪, ২, ৪, ৪*, ০! ফল- ১৬৫ রানেই অল-আউট তারা।
রুয়েল শুধু ৫টি উইকেটই নেননি, ক্যাচ ধরেছেন, করেছেন রান-আউটও! তিনি ছাড়া রেজাউর রহমান নিয়েছেন ২ উইকেট, ১টি করে নিয়েছেন ইমরান আলি ও এনামুল হক জুনিয়র।
৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে সিলেট কাজ সেরে ফেলেছে ৫.৫ ওভারে। ইমতিয়াজ হোসেন ৮ বলে ১৪ করে আউট হলেও শানাজ আহমেদের ১৬ বলে ১৮ ও তৌফিক খানের সমান বলে ১১ রানে শেষ পর্যন্ত সহজ জয় পেয়েছে সিলেট।
****
২য় স্তর, বরিশাল
বরিশাল ১ম ইনিংস ৪১৪ অল-আউট (রাব্বি ১৪১, সালমান ৭১, মইন ৭৫, তাসকিন ৪/৬৭)
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ২২৫/২* (শামসুর ৯০*, আইয়ুব ৮৫*)
শামসুর রহমান ও মার্শাল আইয়ুব- দুজনই আছেন সেঞ্চুরির অপেক্ষায়। শামসুরের অপরাজিত ৯০ ও আইয়ুবের অপরাজিত ৮৫ রানে ভর করে বরিশালের প্রথম ইনিংসে ৪১৪ রানের জবাবে ২ উইকেটে ২২৫ রান তুলে ফেলেছে ঢাকা মেট্রো।
আগেরদিন ৬ উইকেটে ৩৩৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা বরিশাল এদিন বাকি ৪ উইকেটে যোগ করেছে আর ৭৬ রান। সালমান ফিরেছিলেন ৭২ রান করে, মইন শেষ পর্যন্ত করেছেন ৭৫। ৬৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, আসিফ হোসেন ৩ উইকেট নিয়েছেন ১০৬ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে ২২ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়েছিল মেট্রো, ৬৮ রানে হারিয়েছিল দ্বিতীয়টি। শামসুর-আইয়ুব এরপর ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটি অবিচ্ছিন আছে এখনও ১৫৭ রানে।