• বাংলাদেশের ভারত সফর
  • " />

     

    'গোলাপী বলেও তাইজুলদের ভূমিকা থাকবে'

    'গোলাপী বলেও তাইজুলদের ভূমিকা থাকবে'    

    আক্ষরিক অর্থেই গোলাপী যেন এখন ইডেনে। কলকাতার নন্দনকাননে এখন পুরোপুরি গোলাপীর ছোঁয়া। গোলাপী বেলুন, স্কোরকার্ডে গোলাপীর প্রলেপ, ক্লাবের সদরদরজায় গোলাপী মাস্কট- আক্ষরিক অর্থেই গোলাপী সাজে সেজেছে ইডেন। তবে গোলাপী বল কত বড় হন্তারক হয়ে উঠবে, সেটি নিয়েই এখন চলছে জল্পনা কল্পনা। আজ বাংলাদেশের স্পিন বোলিং পরামর্শক ড্যানিয়েল ভেট্টোরি যেমন মনে করছেন, ফ্লাডলাইটের নিচে দুই দল গোলাপী বল কেমন খেলে সেটার ওপরেই নির্ভর করবে অনেক কিছু। মনে করছেন, গোলাপী বলেও স্পিনারদের ভূমিকা থাকবে।

    ভেট্টোরির বাংলাদেশ দলের সঙ্গে খণ্ডকালীন বোলিং পরামর্শক হিসেবে যোগ দেওয়ার এক মাসও হয়নি এখনও। ভারতের মাঠে স্পিনারদের ভালো করা এমনিতেই বড় চ্যালেঞ্জ। তার ওপর গোলাপী বলে সেটি আরও বড় হয়ে যাচ্ছে ভেট্টোরির ছাত্রদের কাছে। নিউজিল্যান্ডের এই কিংবদন্তি অবশ্য প্রথম দিবারাত্রির টেস্টের বছরখানেক আগেই অবসর নিয়ে ফেলেছিলেন। এই অভিজ্ঞতার সাথে পরিচয় নেই তার। তবে রাতের বেলার গোলাপী বলকে সামলানোর ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে বলে তার মত, ‘দিনের বেলা বেশ কিছু সময় গোলাপী বল তুলনামূলক সাধারণ আচরণই করার কথা। চ্যালেঞ্জ হবে আসলে রাতে এই বল কেমন আচরণ করে। এখানে সূর্য বেশ আগেভাগেই অস্ত যায়। ওই সময়েই গোলাপী বলের আচরণ কেমন হবে সেটাই দেখার বিষয়। আমার অভিজ্ঞতা তো শুধু টিভি দেখে, সেখান থেকে মনে হয়েছে গোধূলী ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কেমন আচরণ করবে সেটাই দেখার অপেক্ষা। আমার মনে হয় আসল রোমাঞ্চ হবে সেখানেই।’

    গোলাপী বলে স্পিনাররা কতটা কী করতে পারবেন সেটি নিয়ে প্রশ্ন আছে বেশ। তার ওপর ইডেনের সবুজাভ উইকেট দেখেও দুই দলই পুরোপুরি পেসারদের দিকে ঝুঁকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভেট্টোরিও বললেন, বাংলাদেশের পেসাররা গোলাপী বল নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত, ‘চার জন ফাস্ট বোলারই বেশ রোমাঞ্চিত। এটা বেশ ভালো একটা ব্যাপার। বাংলাদেশের পেসারদের রোমাঞ্চিত হওয়ার সুযোগ তো আর সবসময় হয় না। এসজির গোলাপী বলটা এমনিতে আলাদা। বেশির ভাগের অভিজ্ঞতা কোকাবুরা বলেই। তবে এটা নিয়ে একটা রোমাঞ্চ তো আছেই। ’

    তাই বলে যে স্পিনারদের যে একেবারে ভূমিকা থাকবে না সেটা ভেট্টোরি মনে করছেন না, ‘আমার যদ্দুর মনে আছে, দিবারাত্রির টেস্টে এর আগে স্পিনারদের খুব বেশি ভূমিকা ছিল না। পেসারদেরই দাপট ছিল। তারপরও আমি মনে করি স্পিনারদের বড় ভূমিকা থাকতে পারে। দিনের প্রথম দুই সেশনে স্পিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বেশির ভাগ টেস্টেই স্পিনারদের কখনো না কখনো দরকার হয়। আর শুরুর জন্য এসজি বল সবাই উপভোগই করে। এখন পর্যন্ত স্পিনারদের বল করা বেশ ভালো একটা ব্যাপার।’

    ইডেন গার্ডেন, গোলাপী বল- এসব উপলক্ষ মিলে এই টেস্টে টি-টোয়েন্টির আবহ থাকবে বলে মনে করেন কোহলি, ‘এত এত মানুষ থাকবে এখানে, এ থেকেই এই টেস্টের গুরুত্ব বোঝা যায়। আর টেস্ট যেহেতু রাত পর্যন্ত গড়াবে, অনেক বেশি মানুষের এটা দেখার সুযোগ হবে। আমি টিভি দেখেই সেটা অনেক উপভোগ করেছি। সব মিলে আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডের আবহ থাকবে। গ্যালারি হয়তো ভর্তি থাকবে, ওরকম আওয়াজও আসবে। কোহলি মাঠে নামলে তার মনে হবে টি-টোয়েন্টিতেই ব্যাট করছে। এই টেস্টে এমন একটা আবহ হতে পারে যেটা আগে হয়তো কখনো হয়নি। ’