অন্তিম মুহূর্তের গোলে ভ্যালেন্সিয়ার মাঠ থেকে পয়েন্ট ছিনিয়ে আনল রিয়াল
ফুল-টাইম
ভ্যালেন্সিয়া ১-১ রিয়াল মাদ্রিদ
রিয়াল সোসিয়াদাদের মাঠে বার্সেলোনা পয়েন্ট হারানোয় রিয়াল মাদ্রিদের সামনে সুযোগ এসেছিল লা লিগার শীর্ষস্থানে ওঠার। কিন্তু ভ্যালেন্সিয়ার মাঠ এস্তাদিও মেস্তায়ায় জিনেদিন জিদানের দল পিছিয়ে ছিল ৯২ মিনিট পর্যন্ত। ক্লাসিকো মহড়ায় হার চোখরাঙানি দিচ্ছিল রিয়ালকে, কিন্তু তখনই আবারও ত্রাণকর্তা হয়ে আসলেন করিম বেনজেমা। টনি ক্রুসের কর্নারে থিবো কর্তোয়ার হেড দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দিলেন ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষক হাউমে ডমেনেখ; কিন্তু ফিরতি বল জালে পাঠিয়েছেন ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার। কর্তোয়া-বেনজেমার বীরত্বে মেস্তায়া থেকে ড্র নিয়ে ফিরেছে রিয়াল, এল ক্লাসিকোর আগে লিগে ১৬ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার সমান ৩৫ পয়েন্ট ‘লস ব্লাঙ্কোস’দের।
বেনজেমার গোলের আগেই অবশ্য ম্যাচে ফিরতে পারত রিয়াল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের শুরুতে বেনজেমার ফ্লিকে ডিবক্সে বল পেয়ে যান ফেদেরিক ভালভার্দে। ডমেনেখকে পরাস্তও করেছিলেন উরুগুইয়ান মিডফিল্ডার, কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয়েছে গোলটি। এর মিনিট দশেক আগে অবশ্য ভ্যালেন্সিয়াকে লিড এনে দিয়েছিলেন কার্লোস সোলের। দানি পারেহোর পাসে ড্যানিয়েল ওয়াসের মাইনাস থেকে দলকে লিড এনে দেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের সুযোগও অবশ্য বেশি তৈরি করেছিল স্বাগতিকরাই। কিন্তু রিয়াল গোলরক্ষক কর্তোয়া ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ৭২ মিনিটে পারেহোর দূরপাল্লার শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে ভ্যালেন্সিয়ার জমাট রক্ষণ এবং মাঝমাঠের সামনে রিয়ালকে বেশ অসহায়ই মনে হয়েছে।
হলুদ কার্ড দেখলেই ক্লাসিকোর মিস করার শঙ্কায় থাকা কাসেমিরোকে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে একাদশেই রাখেননি জিদান। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের অভাবটা বেশ ভুগিয়েছে রিয়ালকে। কাসেমিরোর জায়গায় ভালভার্দেকে খেলিয়েছিলেন জিদান। ফ্রেঞ্চ ম্যানেজারের বাজিটা কাজে দেয়নি রিয়ালের জন্য, নিজের পজিশন ছেড়ে ‘ডেস্ট্রয়ার’ রোলে খেলা ভালভার্দের ভুলে আরেকটু হলেই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পিছিয়ে পড়তে পারত রিয়াল। ৪৭ মিনিটে ভালভার্দের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে সোলেরের সাথে দারুণ এক ওয়ান টু করে কর্তোয়াকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন রদ্রিগো। কিন্তু বেলজিয়ান গোলরক্ষকের দক্ষহাতে সে যাত্রায় বেঁচে যায় ভালভার্দে এবং রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধে ভ্যালেন্সিয়া খেললেও প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময় এগিয়ে ছিল রিয়ালই। ৬ মিনিটে বেনজেমার পাস থেকে টনি ক্রুসের দুর্দান্ত শট ডমেনেখ ফিরিয়ে না দিলে তখনই লিড পারত রিয়াল। ক্রুসের পর রিয়ালকে লিড এনে দিতে পারতেন ভালভার্দে। রদ্রিগো গোজের পাস থেকে তার শটও ফিরিয়ে দিয়েছেন ডমেনেখ। কম যাননি কর্তোয়াও।
১৮ মিনিটে ফেরান তোরেসের শট দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। পুরো ম্যাচে ডমেনেখ-কর্তোয়ার দ্বৈরথ ছিল দেখার মত। দুই গোলরক্ষকের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের রাতে শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে রিয়ালকে। তবে অন্তিম মুহূর্তে দুর্দান্তভাবে ফেরায় আত্মবিশ্বাসটা হয়তো তুঙ্গেই থাকবে রিয়ালের। এল ক্লাসিকোর আগে দলের নিউক্লিয়াস কাসেমিরোকে ছাড়া দলের এমন পারফরম্যান্সে নিশ্চয়ই হতাশ হবেন না জিদান।